সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রাজশাহীর তরুণ সাংবাদিক মাসুমা আক্তার আর নেই। রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার দিবাগত ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওই ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মাসুমা এখন টেলিভিশনের রাজশাহী ব্যুরো অফিসের রিপোর্টার ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে। বাবা-মায়ের দুই সন্তানের মধ্যে তিনিই ছিলেন একমাত্র মেয়ে।
জানা গেছে, গত শুক্রবার রাজশাহী থেকে মাসুমা স্বামীসহ কুমিল্লায় শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নূরজাহান হোটেলের উল্টোদিকে বাস থেকে নেমে তারা সিএনজি ঠিক করছিলেন। এ সময় দ্রুতগামী একটি বাস তাদের ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলে সিএনজি অটোরিকশার চালক, মাসুমা আক্তার ও তার স্বামী গুরুতর আহত হন। মাসুমাকে প্রথমে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। এরপর তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত কয়েকদিন অসচেতন অবস্থায় ছিলেন তিনি। গতকাল দিবাগত ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মাসুমা না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
উল্লেখ্য, মাসুমা পড়াশোনা করেছেন রাজশাহীর নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা অধ্যয়ন বিভাগে। শিক্ষাজীবন থেকেই তার সাংবাদিকতার শুরু, পরে এটিকেই পেশা হিসেবে নেন। রাজশাহীতে স্বামীর সঙ্গেই থাকতেন তিনি। মাসুমা কঠোর পরিশ্রমী ও বিনয়ী হিসেবে সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যুতে রাজশাহীর সাংবাদিক সমাজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোক প্রকাশ করেছেন রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন-আরটিজেএর সভাপতি মেহেদী হাসান শ্যামল ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।