বুধবার, ০৮:২৯ অপরাহ্ন, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
দেশে নির্বাচনে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই, দাবি চরমোনাই পীরের গণতন্ত্রের প্রশ্নে দলগুলোর যেন মুখ দেখাদেখি বন্ধ না হয়: তারেক রহমান এসপি-ওসিদের লটারির মাধ্যমে বদলি করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দায়িত্ব পালনে অবহেলায় এসিল্যান্ডদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪২৮ দলকে না জানিয়ে কক্সবাজারে, ৫ নেতাকে শোকজ এনসিপির পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৭৬ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠক তারেক রহমানের ১৫ দিন পর মাইলস্টোনে পাঠদান কার্যক্রম শুরু টিএসসিতে যুদ্ধাপরাধীদের ছবি প্রদর্শনে ছাত্রদলের নিন্দা, ছাত্রশিবির বলছে ‘কুতর্ক ও মব’

শারজিল, সফুরাদের ‘বলির পাঁঠা’ বানিয়েছে ভারতীয় পুলিশ!

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ৯২ বার পঠিত

ভারতে ২০১৯ সালে জামিয়া নগর সহিংসতা মামলায় অভিযুক্ত ১১ জনকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছে দিল্লির এক আদালত। এদের মধ্যে রয়েছে ছাত্র আন্দোলনের নেতা শারজিল ইমাম, সফুরা জারগর প্রমুখ। মামলার রায়ে বলা হয়েছে, ‘ভিন্নমত পোষণ করা মতপ্রকাশের স্বাধীনতারই একটি রূপ।’ রায়ে এমনকি বলা হয়েছে, শারজিল, সফুরাদের ‘বলির পাঁঠা’ বানিয়েছে পুলিশ।

অবশ্য এমন রায়ের পরও এখুনি জেলমুক্ত হচ্ছেন না গবেষক শারজিল। জামিয়া নগর থানায় যে মামলা নথিভুক্ত হয়েছিল ওই মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেয়েছেন তিনি, সফুরাসহ ১১ জন। এছাড়াও ২০২০ সাথে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা হয়। ওই মামলা এখনো চলছে।

উল্লেখ্য, শারজিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রতিবাদ চলাকালীন দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া এবং উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে বিভাজনমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন। এর পরই ভারতের পাঁচ রাজ্যে দেশদ্রোহসহ একাধিক মামলা দায়ের হয় তার বিরুদ্ধে।

দিল্লির দায়রা আদালতের বিচারক আরুল বর্মা অবশ্য জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শারজিলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে চাননি। বরং তিনি বলেন, ‘অ্যাজেন্সিগুলোর উচিত আসল দোষীকে ধরা, ভিন্নমত পোষণকারীদের নয়। অ্যাজেন্সি নিজের সুবিধার জন্য ভিন্নমত এবং দাঙ্গাকারীদের মধ্যে তফাৎ তা মুছে দিতে পারে না।’

শুনানির শুরু থেকেই ইমামের আইনজীবী বলে আসছিলেন, তার মক্কেল (শারজিল ইমাম) শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পক্ষে প্রচার চালিয়েছেন, হিংসাত্মক প্রতিবাদ নয়। এই দাবিও মেনে নেন বিচারক।

শাহিন বাগ প্রতিবাদের অন্যতম উদ্যোক্তা শারজিলকে ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি বিহারের জাহানাবাদ থেকে তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। মুম্বাই, দিল্লির পাশাপাশি বিহারের জাহানাবাদে তার পৈতৃক ভিটেতেও ওই সময় হানা দিয়েছিল পুলিশ কর্মকর্তারা। জেরার জন্য তুলে আনা হয় তার ছোট ভাইকে। তার পরই শারজিলের নাগাল পেয়েছিল পুলিশ। উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও নিয়েও সমস্যায় পড়তে হয় শারজিলকে।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com