উদ্ভাবন নির্ভর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তত্ত্ব আবিষ্কারের জন্য চলতি বছর অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন তিনজন।তারা হলেন- জোয়েল মোকিয়র, ফিলিপ আগিয়োঁ ও পিটার হাউইট। আজ সোমবার তাদের নাম ঘোষণা করে দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স। তারা জানায়, উদ্ভাবন নির্ভর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তত্ত্ব আবিষ্কার ও ব্যাখ্যা করার জন্য এই তিন অর্থনীতিবিদকে নোবেল দেওয়া হয়।
নোবেল কমিটির বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, আবিষ্কৃত তত্ত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ‘প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধি’- প্রণয়ন ও ব্যাখার জন্য পুরস্কারের অর্ধেক পাবেন জোয়েল মোকিয়র। আর তত্ত্বের অপর অংশ সৃজনশীল বিনাশের (ক্রিয়েটিভ ডেসস্ট্রাকশন) প্রণয়ন ও ব্যার্খার জন্য পুরস্কারের বাকি অর্ধেক ভাগাভাগি করে নেবেন ফিলিপ আগিয়োঁ এবং পিটার হাউইট।
সুইডিশ বিজ্ঞানী ও ডিনামাইটের উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর ৫ বছর পর ১৯০১ সাল থেকে প্রতিবছর এই পুরস্কার প্রদান করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস। তার নামে ও রেখে যাওয়া অর্থে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
প্রতি বছর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর দিবস ডিসেম্বরের ১০ তারিখ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেওয়া হয়। প্রত্যেক বিভাগের বিজয়ীদের একটি স্বর্ণপদক, প্রশংসাপত্রসহ একটি ডিপ্লোমা এবং বর্তমানে ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা দেওয়া হয়।
এ বছর সব ক্যাটাগরিতে পুরস্কার ঘোষণা হয়ে গেছে। প্রথা অনুযায়ী অক্টোবরের প্রথম সোমবার চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। সে হিসেবে এবার ৬ অক্টোবর নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস। এদিন, চিকিৎসাশাস্ত্র বা ওষুধশাস্ত্রে মেরি ব্রাঙ্কো, ফ্রেড রামসডেল ও শিমন সাকাগুচি যৌথভাবে ‘পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স’ সংক্রান্ত তাদের যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য নোবেল প্রাপ্ত হন।
মঙ্গলবার রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স ম্যাক্রোস্কোপিক কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল টানেলিং এবং ইলেকট্রিক সার্কিটে এনার্জি কোয়ান্টাইজেশন গবেষণার জন্য জন ক্লার্ক, মাইকেল ডেভোরেট এবং জন মার্টিনিসকে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
ধারাবাহিকতা মেনে বুধবার ঘোষণা করা হয় রসায়নে নোবেলজয়ীর নাম। এবার রসায়নে যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন সুসুমু কিতাগাওয়া, রিচার্ড রবসন এবং ওমার এম ইয়াগি। ‘মেটাল অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্ক’ ডেভেলপের কারণে তাদের এ বছর রসায়নে নোবেল দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস।
হাঙ্গেরিয়ান লেখক লাসলো ক্রাসনাহোরকাইকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে বৃহস্পতিবার নাম ঘোষণা করে সুইডিশ অ্যাকাডেমি। তার সম্পর্কে নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিনি এই পুরস্কার পেয়েছেন তার চিত্তাকর্ষক ও দূরদর্শী সৃজনকর্মের জন্য, যা মহাপ্রলয়ের ভয়াবহতার মধ্যেও শিল্পের শক্তিকে পুনর্ব্যক্ত করে।
শুক্রবার নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। এবছর পুরস্কারটির জন্য মনোনীত হয়েছেন ভেনেজুয়েলার রাজনীতিবিদ মারিয়া কোরিনা মাচাদো। নোবেল কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং দেশকে স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণে তার নিরলস প্রচেষ্টার জন্য তাকে এই সম্মানে ভূষিত করা হলো।
সুইডিশ বিজ্ঞানী ও ডিনামাইটের উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর ৫ বছর পর ১৯০১ সাল থেকে প্রতিবছর এই পুরস্কার প্রদান করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস। তার নামে ও রেখে যাওয়া অর্থে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।