হবিগঞ্জে অনুমতি ছাড়া দাড়ি রাখার অভিযোগে তিন পুলিশ কনস্টেবলকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে ২১ আগস্ট ২০২৫ তারিখে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।
এজন্য পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির হওয়ার সময় তাদের মুখে দাড়ি দেখা যায়। এ অবস্থায় নিয়ম ভঙ্গের কারণে প্রত্যেককে দুই দিনের জন্য প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে ‘পিডি’ (প্যারেড ড্রিল) ভোগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদেশে আরআই (ভারপ্রাপ্ত), পুলিশ লাইন্স হবিগঞ্জকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে—শাস্তি কার্যকর করে প্রতিবেদন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেরণ করতে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শাখার ইনচার্জদের মাধ্যমে ছাড়পত্র প্রদান করার নির্দেশও জারি করা হয়।
পরবর্তীতে ২২ আগস্ট তারিখে হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত আরেকটি আদেশে ওই তিন পুলিশ সদস্যের আবেদনের পেক্ষিতে তাদের দাড়ি রাখার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এ.এন.এম সাজেদুর রহমান বলেন, আমাদের নিয়ম আছে অনুমতি নিয়ে দাড়ি রাখতে হয়।
অনেক সময় অনুমতি না নিয়ে দাড়ি রাখে অনেক পুলিশ সদস্য এতে করে নোংরা থাকার একটি প্রবণতা থাকে। সেভ অথবা দাড়ি কার্ট-সাট না করে এলোমেলো থাকে।
এছাড়াও অনেক সময় আমাদের মুসলিম রেওয়াজ মেনে দাড়ি রাখে না। গোঁফ কাটে না। যাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে তাদের ৩জনেরই একমাস বা দুই মাসের দাড়ি।