বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘রাতারাতি রাষ্ট্রের সংস্কার করে ফেলা সম্ভব নয়। এজন্য সময় লাগবে। সেজন্য গণতান্ত্রিক চর্চা বাদ দিয়ে বসে থাকা যাবে না। কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। এজন্য কোনো রকম বিলম্ব না করে অতি দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক উপায়ে জনগণের প্রতিনিধিকে সংসদে পাঠিয়ে সংস্কার করতে হবে।’
আজ শনিবার ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের লেখা বই ‘অর্থনীতি শাসন ও ক্ষমতা: যাপিত জীবনের আলেখ্য’ এর প্রকাশ ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হোসেন জিল্লুর রহমান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি মনে করি, হাতশ হবার কোন কারণ নেই। প্রতিদিন সমস্যা, বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা আসছে। যা এই সমাজকে গ্রাস করে ফেলেছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের পুনর্গঠনে সব সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সবাই মিলে সহযোগিতা করছে বলেই সরকার চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের কোন পরিবর্তনই হয়নি। বরং তারা আরও সুযোগ নিচ্ছে। তারা একবার বলছে সোনাবাহিনীর কাছে যাও, আরেকবার বলে কোর্টে যাও। এভাবেই পুলিশ তাদের দায়িত্ব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গেলো ১৫ বছরে দেশের মানুষের সব স্বপ্নকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। অর্থনীতি, গণতন্ত্র ও রাজনীতির কাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। জবাবদিহিতার অভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট করা হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যৌক্তিক কারণে নির্বাচন চায় বিএনপি। অর্থনীতি ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে জিয়াউর রহমান বড় পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন, যা পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ট্রাম্পের ট্যারিফ (শুল্ক) সামনে বড় বিপদে ফেলতে পারে। মনে রাখবেন, রাজনৈতিক দল দেশের উন্নয়নে জনস্বার্থে সবসময় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।’