শনিবার দুপুরে বৃষ্টির দু-এক ফোঁটা পড়তেই উইকেট কাভার দিয়ে ঢেকে দেন মাঠকর্মীরা। প্রথম টি-টোয়েন্টির সময়ও বৃষ্টি বাদ সাধতে পারে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি হবে না তো কবে হবে। সদ্য শ্রীলংকা থেকে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে আসা বাংলাদেশ দল অবশ্য আত্মবিশ্বাসের রোদ পোহাচ্ছে।
আজ শ্রাবণ সন্ধ্যায় পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে সেই আত্মবিশ্বাসই বাংলাদেশের বড় পুঁজি। ধারাবাহিকতা ধরে রাখার প্রত্যয় লিটন দাসদের। সেই প্রত্যয়ের সলতে বাড়িয়ে দিয়েছে হোম কন্ডিশন। এবং এই সংস্করণে সবশেষ ম্যাচে বড় জয়।
নিজেদের ভালো একটি দিনের সম্ভাবনা নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে আজ সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুর স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
মিরপুরের উইকেট গত সপ্তাহে পুরোটাই প্রায় কভারে ঢাকা ছিল। সবশেষ দুদিন রোদ পেয়েছে। উইকেট মন্থর। বিপিএলে গড় রান দেড়শ। ধারণা করা হচ্ছে, পাকিস্তানের বিপক্ষেও স্লো উইকেট হবে। শ্রীলংকা সফরেও বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে স্পিন সহায়ক উইকেটে।
পাকিস্তানের উইকেটের সঙ্গে তুলনায় সম্পূর্ণ বিপরীত। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) ও বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের সময়েও দুইশ রানের স্কোর নিরাপদ হয়নি। উইকেট যাই হোক মিরপুর সম্পর্কে ভালো ধারণা আছে পাকিস্তানের। এই দলের পাঁচজন ক্রিকেটার বিপিএলে খেলেছেন। এই মাঠে কী করতে হবে? ভালো জানা আছে তাদের।
এই ফরম্যাটে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জয়-পরাজয় ১৯-৩। বাংলাদেশের জয়ের তিনটির দুটিই মিরপুরে। ব্যাটিং সব সময় ভাবায় বাংলাদেশকে। শ্রীলংকা সফরে সেই ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিক ছিলেন লিটন, তানজিদ হাসান তামিম, শামীম হোসেন ও তাওহিদ হৃদয়। ব্যাটিং অর্ডারে আক্রমণাত্মক পারভেজ হোসেন রয়েছেন।
এছাড়া মিডল অর্ডারে জাকের আলীর সঙ্গ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান ও রিশাদ হোসেন। উইকেট ও কন্ডিশনের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ শ্রীলংকায় খেলা সবশেষ একাদশে নিয়ে মাঠে নামতে পারে। স্পিন আক্রমণে রিশাদের জায়গায় নাসুম আহমেদ খেললে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
মিরপুরে অভিজ্ঞ মোস্তাফিজ সব সময় দুর্দান্ত। তানজিম হাসান সাকিবের সঙ্গে শরীফুল ইসলাম পেস আক্রমণে থাকতে পারেন। ফ্লাডলাইটের নিচে বাংলাদেশ শনিবার সেন্টার উইকেটে ব্যাটিং অনুশীলন করেছে। এক উইকেটে পেসাররা ও আরেক উইকেটে স্পিনাররা বোলিং করেন।