ঢাকার অদূরে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে নানান আয়োজনে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে তার পরিবারের সদস্য, ভক্ত, কবি-লেখক ও নাট্যজনেরা ফুল হাতে লিচুতলায় শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেন।
সকালে লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই পুত্র নিনিত হুমায়ূন ও নিষাদ হুমায়ূন কবর জিয়ারত করে। এ সময় শুভানুধ্যায়ী ও ভক্তরাও উপস্থিত ছিলেন। তার আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা করা হয়। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজন করা হয় কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিল।
হুমায়ূন আহমেদের লেখালেখি ও স্বপ্ন নিয়ে কথা বলেন তার স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। তিনি বলেন, ‘খুব শিগগিরই পেঙ্গুইন পাবলিকেশনস থেকে আমরা হুমায়ূন আহমেদের বই প্রকাশ দেখতে পারব। বিভিন্ন ভাষায় হুমায়ূন আহমেদের লেখা উপন্যাস অনুবাদ হচ্ছে। এটি আমার কাছে খুব বড় মনে হয়। তার লেখাগুলো বিশ্বে ছড়িয়ে যাক।’
এদিন লেখকের প্রিয় চরিত্র হিমু ও রুপার অনুকরণে যথাক্রমে হলুদ পাঞ্জাবি ও নীল শাড়ি পরে আসেন ভক্ত ও পাঠকেরা। তারা লেখকের প্রতি অতল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কথা জানান।
তারা বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ ৫০ বছর ধরে বাঙালি পাঠক সমাজকে আনন্দ দিয়েছেন। বাংলা ভাষা যত দিন থাকবে, তত দিন তাঁর সাহিত্য পাঠ করা হবে।’
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক, চলচ্চিত্রকার ও নাট্যকার হুমায়ূন আহমেদ। তার বাবা ফয়েজুর রহমান ও মা আয়েশা ফয়েজ।
২০১২ সালে ১৯ জুলাই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
সৃষ্টিশীল কর্মের মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষের হৃদয়ে কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদ চিরকাল বেঁচে থাকবেন বলে মনে করেন ভক্তরা।