জাতীয় রাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান নতুনভাবে জানান দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে মাঠে সক্রিয় থাকা জামায়াত এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চাইছে— তারা এখনও রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবেই টিকে আছে।
বিশেষ করে ছাত্র ও যুবশক্তিকে কেন্দ্রীভূত করা হচ্ছে। জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরও এই প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এছাড়া, সমাবেশে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্যের বার্তা দিতে চায় জামায়াত।
দলটির নেতারা ইঙ্গিত দিয়েছেন—বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে, যারা সরকারবিরোধী রাজনৈতিক মোর্চা গঠনের সম্ভাব্য অংশীদার হতে পারেন।
রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে—গত ২৮ জুন একই স্থানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশের ধারাবাহিকতায় জামায়াতের এই আয়োজন নতুন মাত্রা যোগ করবে।
ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশে জামায়াতসহ সমমনা ১০টি সংগঠনের উপস্থিতি থাকলেও বিএনপির অনুপস্থিতি ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। এখন দেখার বিষয়, জামায়াতের সমাবেশে সেই শূন্যতা পূরণ হয় কিনা।
এদিকে, ১৯ জুলাইয়ের সমাবেশ সফল করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে জামায়াত।
সোমবার সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন করেন দলের শীর্ষ নেতারা। নেতৃত্ব দেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াত এই সমাবেশ থেকে সরকারবিরোধী একটি বৃহৎ জোট গঠনের ইঙ্গিত দিতেও পারে, যা আগাম রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।