কলকাতার প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী নির্মলা মিশ্র মারা গেছেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গতকাল শনিবার রাত ১২টা ৫ মিনিটে দক্ষিণ কলকাতার চেতলায় নিজের বাসভবনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
আজ রোববার হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে নির্মলা মিশ্র অসুস্থ ছিলেন। পাঁচ বছর ধরে তিনি হাসপাতাল আর বাড়িতে বারবার চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনবার তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
নির্মলা মিশ্রের একমাত্র ছেলে শুভদীপ দাশগুপ্ত জানান, চোখের সামনেই মা চলে গেলেন। ২০১৫-তে সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়। তার পর থেকেই শরীরের একটা পাশে পক্ষাঘাত। তখন থেকেই বিছানায় পুরো শোওয়া থাকতেন মা। ২০১৮ থেকে ২০২২—এই চার বছর হাসপাতাল আর বাড়ি করেছে। শনিবার সকাল থেকেই শ্বাসকষ্ট। তার পর রাতে সব শেষ।
তিনি আরও জানান, মৃত্যুর পর তার দেহ রাতেই দক্ষিণ কলকাতার একটি নার্সিং হোমে রাখা হয়। সেখান থেকে রোববার সকালে তার দেহ নিয়ে আসা হবে দক্ষিণ কলকাতার চেতলার নিজ বাসভবনে। সেখানে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সকাল ১০টায় দেহ রাখা হবে রবীন্দ্র সদনে।
সেখানে কলকাতার বিশিষ্টজনদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রাজ্য সংগীত একাডেমি ভবনে। তারপর সেখান থেকে দক্ষিণ কলকাতার কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। সেখানেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে, বলেন শুভদীপ দাশগুপ্ত।
নির্মলা মিশ্র দ্বৈত গান গেয়েছেন বাংলার প্রখ্যাত শিল্পী মান্না দে, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, শিপ্রা বসুসহ অন্য শিল্পীদের সঙ্গে। ১৯৭৬ সালে মহানায়ক উত্তম কুমারের একটি গীতিনাট্যেও তিনি অংশ নেন।
অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন এই সংগীতশিল্পী। তার কালজয়ী গানগুলোর মধ্যে রয়েছে-‘এমন একটি ঝিনুক খুঁজে পেলাম না’, ‘আমি তো তোমার চিরদিনের হাসি-কান্নার সাথী’, ‘ও তোতা পাখি রে’ আবেশে মুখ রেখে প্রভৃতি।