সোমবার, ০৫:৫১ অপরাহ্ন, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
নাজমুল হক পিএমজেএফ’র লায়ন্স ইন্টারন্যাশনালের ইতিহাসে গৌরবময় অর্জন জুলাই গণহত্যা : তিন মামলায় ১৭ আসামি ট্রাইব্যুনালে এশিয়া কাপ থেকে যে কারণে ভারতের সরে যাওয়ার সুযোগ নেই খায়রুল হককে আদালতে উপস্থাপনে অসহযোগিতা, ডিসিকে কারণ জানানোর নির্দেশ ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক : ওয়াকআউটের পরে আবারও বিএনপির যোগদান ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে গিয়ে ক্ষতির মুখে যুক্তরাষ্ট্র বরিশাল গৌরনদীতে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ কেন্দ্রীয় বাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি স্থগিত সময়ের কন্ঠধ্বনির প্রকাশক ও সম্পাদক দিদার সরদারের শুভ জন্মদিন এক ব্যক্তি ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়, দলগুলো একমত

অস্টিওপরোসিস: হাড় ক্ষয় কেন হয়, সেরে ওঠার উপায় কী

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫
  • ৫৪ বার পঠিত

অস্টিও অর্থ হাড় এবং পরোসিস অর্থ পোরস বা ছিদ্র। অস্টিওপরোসিস বলতে বোঝায় যখন হাড়ে বেশি পরিমাণে ছিদ্র তৈরি হয়। হাড়ের দুটি অংশ থাকে। ওপরের শক্ত আবরণটিকে বলা হয় কমপ্যাক্ট বোন। ভেতরে স্পঞ্জের মতো ছিদ্র ছিদ্র করা স্তরটিকে বলা হয় স্পঞ্জি বোন বা ট্রেবিকুলার বোন।

অস্টিওপরোসিস হলে হাড়ের ওপরের আবরণ বা কম্প্যাক্ট বোন অনেক পাতলা হয়ে যায় এবং স্পঞ্জি অংশটির ছিদ্র বেড়ে যায় বা ঘনত্ব কমে যায়, যা হাড়কে দুর্বল করে ফেলে। হাড় সাধারণত একদিকে ক্ষয় হতে থাকে আরেকদিকে গঠন হতে থাকে। যদি ক্ষয় হওয়ার গতি, নতুন হাড় গঠন হওয়ার গতির চাইতে কমে যায়, তখনই অস্টিওপরোসিস হয়। পঞ্চাশোর্ধ্ব এক-তৃতীয়াংশ নারী ও একপঞ্চমাংশ পুরুষ অস্টিওপোরোসিসে ভোগেন।

হাড় ক্ষয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা-

সুষম খাদ্য : ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার (দুধ, দই, পনির), সবুজ শাকসবজি এবং ভিটামিন ডি-এর জন্য মাছ, ডিম খাওয়া।

ভিটামিন ডি গ্রহণ : নিয়মিত সূর্যালোক গ্রহণ করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০-১৫ মিনিট গায়ে রোদ লাগাতে হবে। এছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শে প্রয়োজনে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট নিন। নিয়মিত পরিমাণমতো ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে।

নিয়মিত ব্যয়াম : ওজন বহনকারী ব্যায়াম যেমন হাঁটা, দৌড়ানো বা সাইক্লিং করুন।

ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন : এগুলো হাড়ের ক্ষতি করে। কফি কম পান করা উচিত।

পিরিয়ডিক বোন ডেনসিটি টেস্ট : ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য হাড়ের ঘনত্ব পরীক্ষা করে ঝুঁকি নির্ধারণ করা প্রয়োজন।

চিকিৎসা পদ্ধতি – 

ওষুধ: ১) ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম-ভিটামিন ডি প্রতিদিন ৮০০ থেকে এক হাজার ইউনিট, ক্যালসিয়াম প্রতিদিন ১০০০ থেকে ১২০০ মিলিগ্রাম খেতে হবে। ২) ডাক্তারের পরামর্শে আরো কিছু ওষুধ খেতে হবে এবং ফলোআপ করতে হবে।

পরামর্শ : 

১) স্বাভাবিক চলাফেরায় শক্ত জুতা বা কেডস ব্যবহার করতে হবে।

২) পড়ে যাওয়া থেকে নিরাপদ থাকতে বাথরুম পরিষ্কার রাখতে হবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাথরুমে পড়ে যেয়ে হাড় ভেঙে যায় তাই বাথরুমে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কমোড পায়খানার পাশে হাতল লাগাতে হবে।

৩) বাসায় চলাচলের জায়গা পরিষ্কার ও পিচ্ছিলমুক্ত রাখতে হবে।

৪) উঁচু-নিচু জায়গায় চলাচল থেকে বিরত থাকতে হবে। ৫) সিঁড়িতে রেইল লাগাতে হবে।

৬) অস্বাভাবিকভাবে ঝুঁকে কাজ করা বা শরীরকে বাঁকিয়ে কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৭) এ রোগে আক্রান্ত হলে অতিরিক্ত ওজন বহন করা যাবে না।

লেখক : মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার মিরপুর-১০, ঢাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com