সিরিয়ার সাবেক বিদ্রোহী নেতা আহমেদ আল শারাকে দেশটির অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার তার নাম ঘোষণা করা হয়। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানার বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিক্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সিরিয়ার সামরিক মুখপাত্র কমান্ডার হাসান আবদেল গনির বরাতে সানার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্টের দায়িত্বের পাশাপাশি আহমেদ আল শারাকে একটি অস্থায়ী সরকার গঠনের ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে, যে সরকার নতুন একটি সংবিধান গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত কাজ চালিয়ে নেবে।
ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আহমেদ আল শারা।তিনি সিরিয়ার বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শাম (এইচটিএস) নেতা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার দামেস্কে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সাবেক স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে আল শারার পাশাপাশি লড়াই করেছিলেন এমন সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কমান্ডাররা ওই বৈঠকে অংশ নেন। এতে ডিসেম্বরে গঠিত সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রীরাও উপস্থিত ছিলেন।
ওই বৈঠকে আহমেদ আল শারাকে প্রেসিডেন্ট করাসহ আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নতুন প্রেসিডেন্ট শারা জানিয়েছেন, তিনি একটি অন্তর্বর্তীকালীন আইনসভা গঠন করবেন, যা দেশের শাসন পরিচালনা করবে যতক্ষণ না একটি নতুন সংবিধান অনুমোদিত হয়। আসাদবিরোধী সব বিদ্রোহী গোষ্ঠী ভেঙে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একীভূত করা হবে বলেও জানান তিনি।
সেনা কমান্ডারদের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে শারা বলেন, নতুন নেতৃত্বের সামনে রয়েছে ‘একটি বিশাল দায়িত্ব ও কঠিন চ্যালেঞ্জ’। এ সময় দেশে স্থিতিশীলতা ফেরানোর পাশাপাশি দেশ পুনর্গঠনে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নতুন প্রেসিডেন্ট।
এর আগে, গত ডিসেম্বরে আল-আরাবিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শারা বলেছিলেন, নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চার বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
তিনি একটি একক জাতীয় সেনাবাহিনী এবং নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের ওপরও জোর দিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে যে, অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন কীভাবে বিচ্ছিন্ন বিরোধী বিদ্রোহী গ্রুপগুলোকে একত্রিত করতে পারবে, যাদের প্রত্যেকের নিজস্ব নেতা ও মতাদর্শ রয়েছে।