রংপুর রাইডার্স অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের একটি ছক্কা গিয়ে লেগেছিল দুর্বার রাজশাহীর মালিকের স্ত্রীর শরীরে। সেই ঘটনায় তিনি আহত হন এবং চিকিৎসা নিতে যান থাইল্যান্ডে। এ কারণেই নাকি সময়মতো রাজশাহীর ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক দেওয়া যায়নি! নাহ, কোনো গালগল্প নয়; এই তথ্য জানিয়েছেন দলটির অপারেশন ইনচার্জ জায়েদ আহমেদ।
এদিকে বৃহস্পতিবারের (১৬ জানুয়ারি) মধ্যে টাকা বুঝে না পেলে তারা শুক্রবারের ম্যাচ বয়কটেরও হুমকি দিয়েছেন ক্রিকেটাররা।
অপারেশন ইনচার্জ জায়েদ আহমেদ বলেন, অনুশীলন ও পারিশ্রমিকের বিষয়ে আমরা সারা দিন যে খবরগুলো দেখেছি, এটার সাথে আসলে (পারিশ্রমিক না পাওয়ার বিষয়) একদমই সম্পৃক্ত নয়। ক্রিকেটাররা বিশ্রাম চেয়েছিল বলেই ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়। এটাই ছিল বিষয়। আমরা এরই মধ্যে প্রতিটি ক্রিকেটারকে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি ১৬ জানুয়ারি সবাইকে পারিশ্রমিক দেওয়া হবে। এটার সঙ্গে অনুশীলনের সম্পর্ক নেই।
ক্রিকেটাররা যে চেক বাউন্স হওয়ার অভিযোগ করেছেন, সেটার বিষয়েও যুক্তি দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন দুর্বার রাজশাহীর এই কর্মকর্তা, চেক বাউন্সের ব্যাপারটা হলো, যেই ম্যাচে আমাদের দলের কর্ণধারের স্ত্রী মাঠে ছিলেন, ওই ম্যাচে সাইডলাইনে বসে থাকা অবস্থায় একটি বল আঘাত করে ওনার শরীরে। একটা হাড়ে চিড় ধরা পড়ে। তাই তৎক্ষণাৎ তাকে ব্যাংকক নিয়ে যেতে হয় চিকিৎসার জন্য। তিনি সেখানেই ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, চেকটা আমরা এর আগেই দিয়ে ফেলেছিলাম। আমরা চেকটা ওই তারিখে লিখে ফেলেছিলাম কিন্তু উনি দেশে নেই। মালিক বলেছেন, আমি তো দেশে নেই, তুমি দলকে বলো আমি আসার পরে যেন চেকটা জমা দেয়। না হয় ব্যাংক তো ফোন করে আমাকে পাবে না। এই জিনিসটা প্রতিটা ক্রিকেটারকে বলা হয়েছিল। এর ভেতরে ২-১ জন ক্রিকেটার হয়তো চেক জমা দিয়ে ফেলেছিল। তাদের মনে ছিল না। পরে যোগাযোগ করি যে, আপনাদের তো বলা হয়েছে চেকটা জমা না দিতে। তখন তারা বলে যে, তাদের মাথায় ছিল না। তারা ভেবেছিল সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে।