টুইঙ্কেল খান্না। তিনি কখনোই সোজা কথা সোজা ভাবে বলতে দ্বিধা করেন না। রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ে নিজের হাতে কলম তুলে নেন সবসময়। আরজি করের ঘটনার পরও কলম ধরলেন টুইঙ্কেল।
ভারতের এক পত্রিকার জন্য নিজের লেখা শিরোনামে টুইঙ্কেল দিয়েছেন, ‘কেন ভূতেরা আর ভারতীয় স্ত্রীদের ভয় দেখায় না।’ টুইঙ্কেলের মনে হয়েছে ‘অন্ধকার রাস্তায় মহিলাদের জন্য ভূতের থেকে পুরুষরা বেশি বিপজ্জনক।’
টুইঙ্কেলের কথায়, ‘আমাদের চারপাশে যে ধরনের ঘটনা ঘটছে, তাতে হরর মুভিগুলি তুলনামূলকভাবে কম ভীতিকর মনে হচ্ছে।’
এছাড়াও কলকাতায় একজন শিক্ষানবিশ ডাক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যা এবং বদলাপুরের এক স্কুলে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া ২-৪ বছরের শিশু’র কথা উল্লেখ করে টুইঙ্কেল বলেন, ‘স্ত্রী-২ আসলে ছিল মহিলাদের দৈনন্দিন অভিজ্ঞতার একটি অন্তর্ঘাত।’
টুইঙ্কেল আরও লেখেন, ‘এই গ্রহে পঞ্চাশ বছর পরেও আমি দেখতে পেয়েছি আমরা এখনও আমাদের মেয়েদের সেই একই জিনিস শেখাচ্ছি। যা আমাকে ছোটবেলায় শেখানো হয়েছিল যে একা যাবেন না। পার্কে, স্কুলে যেতে, কাজ করতে কোথাও একা যাবে না। কোনো পুরুষের সঙ্গে একা যাবেন না। এমনকি সেটা যদি তোমার কাকা, তুতো ভাই, বন্ধু যেই হোক না কেন, কোথাও একা যাবে না। তুমি একা যেও না, কারণ তুমি আর কখনও ফিরে আসতে নাও পারো।
পরিশেষে টুইঙ্কেল লেখেন, ‘আমাদের ঘরে সীমাবদ্ধ না রেখে পাবলিক স্পেসে মহিলাদের সুরক্ষা ব্যবস্থার গ্যারান্টি দিয়ে আইন প্রয়োগ ও অনুসরণ করার সময় এসেছে। ততদিন আমার মনে হয়, পুরুষের চেয়ে অন্ধকার গলিতে ভূতের মুখোমুখি হওয়াই এ দেশের নারীদেরই নিরাপদ।’