বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা চাই একটি গণতান্ত্রিক নতুন বাংলাদেশ, সাম্য ও মানবাধিকার দেশ গঠন করতে চাই।
সোমবার জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মাজারে শ্রদ্ধা ও ফাতিহা পাঠ এবং দোয়া শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি এসএম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানসহ নেতাকর্মীদের নিয়ে শেরেবাংলা নগরে জিয়ার মাজারে যান মির্জা ফখরুল।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তক, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার শহিদ রাষ্ট্রপতি রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছি। আজকে আমরা শপথ নিয়েছি, ছাত্র জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে বিজয় অর্জিত হয়েছে, সে বিজয়কে আমরা স্বস্তির হতে দিবে।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনের যারা কারাগারে আছেন তাদের মুক্তির বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এমনটি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার পতনের পর ড. ইউনূসের নেতৃত্বে মধ্য দিয়ে যে, অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে সে সরকারকে আমরা সর্বোচ্চভাবে সমর্থন জানাচ্ছি। দলকে দৃঢ় করতে আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, আজকে ছাত্র-জনতার বিজয়কে নস্যাৎ করে দেওয়ার জন্য চক্রান্ত হচ্ছে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কিছু সংখ্যক গোলযোগ সৃষ্টিকারী আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে গোলযোগ সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করে যাচ্ছে। পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমাদের কোনো নেতাকর্মী, কোনো গোলযোগের সাথে জড়িত নয়।
এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব মো. আমিনুল হক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহসভাপতি ইয়াছিন আলী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সহসভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন, ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, কেন্দ্রীয়সহ বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।