কেন কাঁদাও?
যদি বুঝোই- তুমি কাঁদলেও কালিদাশের
‘মেঘদূত’ হয়ে আমার নিভৃতের প্রেম তোমাকে
করবে অনুসরণ। আমি যজ্ঞ হোয়ে তবুও ফিরে ফিরে তাকিয়ে থাকব আষাঢ়ের আগমনের পথ চেয়ে প্রতি বরষায়। আমাকে বুঝলে তুমি ঠিকই ফিরে আসবে মেঘের কাছে একদিন।
কেন ভাবাও?
জানি না তোমাকে অমর করে রাখতে হাফিজের ‘দিওয়ান’ সম কাব্যমালা লিখতে কতটুকু গড়াতে হবে চোখের জল কারুন কিংবা আরাস নদীর স্রোতধারায়? যদি বল, তাহলে কারুন কিংবা আরাস কেন? জল শুখিয়ে গেলেও গঙ্গা-পদ্মার জলেই আমি ভাসতে পারি চোখের নদী এক করে আজীবন।
কেন শোনাও?
রাতের নির্জনতায় কানে একাকিত্বের সংগীত অপরুপ, প্রকৃতির সীমান্ত কিনারায় যখন বসি একলা বেঞ্চিতে, ফুঁপিয়ে উঠে বুকের ভেতর। ফিরে পাই গোয়েথ এর ‘ফাঊষ্ট’, ছুঁয়ে যায় রবিঠাকুরের ‘গীতাঞ্জলী’। ভাবনায় তুমিময় আমার চোখ জেগে থাকে ভোরের আলো ছুঁতে। যদি বুঝতে এমন করে কখনও কাঁদাতে না!
কেন দাঁড়াও?
দাঁড়াতে যে হয়। পথের ক্লান্তিতে পথকে সাথী করে দাঁড়াতে হয়। তা নাহলে সম্মুখে পা সরে না। জীবনানন্দের ‘বনলতা সেন’ও দুদন্ড শান্তি দিয়েছিল, মুখোমুখি বসে অন্ধকার। এ অন্ধকারেও যে ছিল কত আলো তা জানলে না। জানলে না দ্রোহের কবি নজরুলের ‘সঞ্চিতা’তেও যে প্রেম ফুটে থাকল তার কিঞ্চিত পেলেই আমি আজীবন দাঁড়িয়ে থাকতে পারি তোমার জন্য।