ঢাকার চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এক ম্যাজিস্ট্রেটের ১৪ হাজার টাকা পকেট মেরে নিয়ে যাওয়ার মামলায় পকেটমারের ১ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত। রায়ে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ের আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত আসামির নাম মো. রাসেল। তিনি ঢাকা জেলার দোহার থানার নারিশা গ্রামের বাসিন্দা।
রায় ঘোষণার সময় আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৩৫ নম্বর কোর্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশিদ ২০২২ সালের ১৬ এপ্রিল বিকেলে ৫টা ২০ মিনিটের দিকে এফিফ্যান্ট রোডের স্টার কাবাব হোটেলের ভেতরে ইফতারসামগ্রী কেনার জন্য আসেন। এ সময় তিনি টাকা দেওয়ার জন্য ওয়ালেট খুললে দেখতে পান ওয়ালেটে থাকা ১৪ হাজার টাকা নাই।
ওই ঘটনায় একই আদালতের অফিস সহায়ক মো. জুয়েল পর দিন নিউ মার্কেট থানায় মামলা করেন। মামলার পর সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে আসামিকে গ্রেপ্তার হয়। আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিনি আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবনিন্দ দেন।
মামলাটি তদন্তের পর নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সালাম একই বছর ২০ মে চার্জশিট দাখিল করেন। পরবর্তীতে গত ৭ জুন আদালত আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। এরপর আদালত ছয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আত্মপক্ষ ও যুক্তিতর্ক শুনানির পর রায় ঘোষণা করেন।