ছোট পর্দার ‘কিং অব রোমান্স’ বলা হয় জিয়াউল ফারুক অপূর্বকে। দীর্ঘ সময় ধরে নাটকে নিজের এক নম্বর অবস্থানটি ধরে রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখন অবধি তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ নেই। অনেকেই অপূর্বকে সবচাইতে বিনয়ী অভিনেতা হিসেবেও অবিহিত করেন। বিভিন্ন সময় শিল্পীদের দুঃসময়েও পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় এ অভিনেতাকে। যে অভিযোগ দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কোনোদিন পাওয়া যায়নি এবার অপূর্ব’র বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এই অভিনেতার বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গ করে অর্থ আত্মসাৎ ও শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ এনেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই স্টুডিওস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির তরফে বলা হয়েছে, ২৪টি নাটকে অভিনয়ের জন্য ৫০ লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হন অপূর্ব। কিন্তু ৯টি নাটকে কাজ করে ৩৩ লাখ টাকা নিয়ে অপূর্ব সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ এনে টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপ্যাব) এবং অভিনয়শিল্পী সংঘে লিখিত অভিযোগ করেছেন আলফা আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার করিম ভূঁইয়া (শাহরিয়ার শাকিল)।
গত ১১ই মার্চ অভিযোগটি করলেও বিষয়টি প্রকাশ হয় ১৪ই মার্চ।
বিষয়টি নিয়ে যখন জোর চর্চা চলছে, তখন এ নিয়ে ভিন্নকথা জানালেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। তিনি বলেন, সময়ই সবকিছু পরিষ্কার করে দেবে। ইন্ড্রাস্ট্রির সবাই আমাকে দীর্ঘদিন ধরে চেনে, জানে। আমি কখনো কোনো অন্যায়ের সঙ্গে নেই। যেটা সঠিক ওটাই করবো আমি, এতটুকু বিশ্বাস রাখুন। অন্যায় করে কেউ পার পাবে না। আমাকে নিয়ে যে অভিযোগটি এসেছে তা সর্বৈব মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যমূলক ও আমার জন্য সম্মানহানিকর। আমি দীর্ঘদিনের সুপরিচিত একজন অভিনয়শিল্পী। অর্থ আত্মসাতের মতো নোংরা মিথ্যা অভিযোগে আমার মতো একজন শিল্পীকে জড়ানো হচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক। অপূর্ব আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে এই মুহূর্তে আমি বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না। কারণ এটা আইনি প্রক্রিয়ায় চলে গেছে। আমার সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ বিষয়টি দেখছে এবং টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রোডিউসার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপাব)ও বিষয়টি অবগত। উনারা যা বলার বলবেন। একই সঙ্গে আমার আইনজীবী কথা বলবেন। যেহেতু আইনি প্রক্রিয়ায় আমি এগোচ্ছি তাই এটা নিয়ে বিস্তারিত এই মুহূর্তে বলতে চাই না। এসব নিয়ে আমি কথা বললে আইনি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আমার আইনজীবী জানিয়েছেন। তাই যা বলার তারাই বলবেন।