বৃহস্পতিবার, ০২:৩০ অপরাহ্ন, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

কেমন ছিল রাসূল সা:-এর ইফতার

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪
  • ৪৭ বার পঠিত

সিয়াম সাধনা আমাদের তাকওয়া শেখায়। তাকওয়া আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত। এ তাকওয়ার গুণেই মানুষ রহমতপ্রাপ্ত হয়। রোজাদারের জন্য সেহরি খাওয়া ও ইফতার করা সুন্নাত। বিশেষ কিছু না পেলে সামান্য খাদ্য বা কেবল পানি পান করলেও ইফতারের সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে।

ইফতার খুরমা কিংবা খেজুর দ্বারা করা সুন্নাত। তা না পেলে পানি দ্বারা ইফতার করবে। ইফতার আয়োজনে অপচয় বা লোক দেখানো বিষয়গুলো এড়িয়ে চলাই ভালো।

রোজাদারের জন্য ইফতার বড় আনন্দের। ইফতার সারাদিনের রোজার ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করে মনে অপার্থিব আনন্দ-উচ্ছ্বাস নিয়ে আসে।

রোজাদার কেমন আনন্দানুভব করে তা কেবল যারা রোজা রাখে তারাই অনুধাবন করতে পারেন। হাদিসে বলা হয়েছে, রোজাদারের জন্য দুইটি আনন্দ- একটি ইফতারের সময় ও অপরটি যখন আল্লাহর সাথে মিলবে তখন। (বোখারি, ১৯০৪)

স্বাভাবিকতই ইফতারে খেজুর অত্যন্ত উপযোগী উপকরণ। এটি শর্করা ও পুষ্টি উপাদানের উৎস হিসেবে কাজ করে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করা রাসূলের সা: অভ্যাস ছিলো।

আনাস বিন মালেক রা: থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ‘নবী সা: নামাজের আগে কয়েকটি কাঁচা খেজুর খেয়ে ইফতার করতেন। যদি কাঁচা খেজুর না থাকতো, তাহলে শুকনো খেজুর দিয়ে। যদি শুকনো খেজুরও না থাকত তাহলে কয়েক ঢোক পানি দিয়ে।’ (সুনানে তিরমিজি; রোজা অধ্যায় : ৬৩২)

অনতিবিলম্বে ইফতার করা মহানবীর সা: সুন্নত। রাসূলের সা: বিভিন্ন হাদিস থেকে ও সাহাবিদের আমল থেকে এমনটাই প্রমাণ হয়। সাহল ইবনে সাদ রা: থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সা: বলেন, ‘যতদিন মানুষ অনতিবিলম্বে ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের মধ্যে থাকবে।’ (সহিহ বুখারি, ১৮২১)

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com