সব কেন্দ্রে টিকা না পৌঁছানোর কারণে হজযাত্রীদের কলেরা টিকা নেয়ার শর্ত প্রত্যাহার করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ ব্যাপারে গত ১৬ জুন মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তি জারি করলেও গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তা প্রত্যাহার করে। ফলে কলেরা টিকা ছাড়াই হজযাত্রীরা সৌদি আরবে যাচ্ছেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় গত ১৬ জুন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, ঢাকাস্থ রাজকীয় সৌদি দূতাবাস থেকে গত ১৪ জুন এক পত্রে বাংলাদেশী হজযাত্রীদের কলেরা টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেজন্য হজযাত্রীদের অন্যান্য টিকা গ্রহণকালে অবশ্যই কলেরা টিকা গ্রহণ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে হজযাত্রীদের নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে কলেরা টিকা নিতে বলা হয়। কিন্তু গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই ওই বিজ্ঞপ্তি সরিয়ে ফেলে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ ব্যাপারে জানতে মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখার উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহিন জানান, সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কলেরার টিকা না পৌঁছানোর কারণে টিকা নেয়ার বিজ্ঞপ্তিটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে শিগগিরই আবার এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে। এ বিষয়ে বেসরকারি এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম নয়া দিগন্তকে বলেন, কলেরার টিকা সব কেন্দ্রে পৌঁছায়নি। এজন্য এখন হজযাত্রীদের কলেরা টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক হয়নি। পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত হজযাত্রীরা কলেরার টিকা নেয়া ছাড়াই সৌদি আরবে যেতে পারবেন।
সৌদি পৌঁছেছেন ১৮ হাজার হজযাত্রী : চলতি বছর গত ১৩ দিনে (১৭ জুন রাত ২টা পর্যন্ত) ১৮ হাজার ৪১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৩৮৫ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী গেছেন ১৪ হাজার ৬৫৬ জন।
হজ সম্পর্কিত প্রতিদিনের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মোট ৪৮টি ফ্লাইটে সৌদি গেছেন হজযাত্রীরা। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালিত ২৭টি, সৌদি এয়ারলাইন্স পরিচালিত ১৬টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা পাঁচটি। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট গত ৫ জুন শুরু হয়। সৌদি আরবে যাত্রার শেষ ফ্লাইট ৩ জুলাই। হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ১৪ জুলাই। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে ৪ আগস্ট।
মক্কায় আরো দুই বাংলাদেশী হজযাত্রীর মৃত্যু : সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে আরো দুই বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মৌসুমে হজযাত্রা শুরুর পর মোট চারজন বাংলাদেশীর মৃত্যু হলো। সর্বশেষ যে দু’জন মারা গেছেন তারা হলেন মোছা: রামুজা বেগম (৫৪) ও মো: হেলাল উদ্দিন মোল্লা (৬৩)। তারা দু’জনই ১৭ জুন মারা যান। রামুজা বেগমের বাড়ি কুমিল্লা আদর্শ সদরের ধনপুরে। তার পাসপোর্ট নম্বর বিডব্লিউ০৮৪৩৩২৮। আর হেলাল উদ্দিন মোল্লার বাড়ি জয়পুরহাট সদরে। তার পাসপোর্ট নম্বর ইই০৩৮৫৩৭৬। এর আগে ১১ জুন ও ১৬ জুন দুই বাংলাদেশী হজযাত্রীর মৃত্যু হয়।