শনিবার ভারতে ‘হিন্দুস্তান টাইমস লিডার সামিট’-এর মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন হলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। গত বছর হিন্দুস্তান টাইমস লিডার সামিট-এ হাজির হয়েছিলেন হলিউড তারকা জর্জ ক্লুনি। কিন্তু সেটি ছিল অনলাইন মাধ্যমে। ক্লুনির সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন বলিউড তারকা অনিল কাপুর।
করণ-থেরনের কথোপকথনের একটি ভিডিও অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। যাতে দেখা যাচ্ছে, করণ শার্লিজ থেরনকে প্রশ্ন করে জিজ্ঞাসা করেন, ‘কয়েক বছর ধরে ভারতীয় বিনোদন জগতে একটি বড় বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছে নেপোটিজমের বিষয়টি। এমনকি আমেরিকার সংবাদপত্রেও এই বিতর্কটি এক সময়ে উঠে এসেছে। হলিউডে এই নেপোটিজমের বিষয়টি কতটা প্রাধান্য পায়?’
এই প্রশ্নের উত্তরে শার্লিজ থেরন জানান, তিনি যখন হলিউডে আসেন, তখন তার সঙ্গে সেই জগতের কারও কোনও সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু হলিউডে এসে তিনি এমন কোনও পরিস্থিতির মুখোমুখি হননি।
শার্লিজ থেরন বলেন, ‘কাজের ক্ষমতা, প্রতিভার দাম সব সময়েই দেওয়া হয় সেখানে। যদিও সিনেমার সঙ্গে যুক্ত পরিবার থেকে আসা সদস্যরা কিছু ক্ষেত্রে সুবিধা পান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারাই টিকে থাকতে পারেন, যাদের টিকে থাকার ক্ষমতা আছে।’ অভিনেত্রীর মতে, বিনোদন জগতের ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
শার্লিজ থেরন একজন দক্ষিণ আফ্রিকান-আমেরিকান অভিনেত্রী এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক। তিনি হলিউডের অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার বিখ্যাত কিছু চলচ্চিত্রের মধ্যে দ্য ডেভিলস্ অ্যাডভোকেট (১৯৯৭), মাইটি জো ইয়ং (১৯৯৮), দ্য সিডার হাউস রুলস (১৯৯৯), মনস্টার (২০০৩), ইটালিয়ান জব (২০০৩), হ্যানকক (২০০৪), আ মিলিয়ন ওয়েজ টু ডাই ইন দ্য ওয়েস্ট (২০১৪), ম্যাড ম্যাক্স: ফিউরি রোড (২০১৫) এবং দ্য ফেইট অফ দ্য ফিউরিয়াস (২০১৭) অনেক দর্শকপ্রিয়তা পায়। হলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত থেরন।