রাজধানীতে আজ শনিবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশকে ঘিরে নাশকতার আশঙ্কায় চালকরা রাস্তায় যানবাহন কম নামিয়েছেন।
বাস ছাড়াও সিএনজি, রাইড শেয়ারিংয়ের কার, ভাড়ায় চালিত প্রাইভেটকারসহ অন্যান্য বাহনও তেমন দেখা যাচ্ছে না। ফলে সকাল থেকেই ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ। অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে কোনো উপায় না পেয়ে বাসায় ফেরত যাচ্ছেন।
শনিবার সকাল থেকে রাজপথে নগর পরিবহনের বাস চোখে পড়েনি একেবারেই। রিকশা ও অটোরিকশা থাকলেও ব্যক্তিগত গাড়িও সেভাবে বের হয়নি।
অফিস করতে তেজগাঁওয়ে যাওয়ার উদ্দেশে এয়ারপোর্ট বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মজীবী আয়েশা সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও কোনো বাস পাইনি। উবার, পাঠাও’তে অনেক ভাড়া চাচ্ছে। আধা ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি। এখনো বাস পাইনি।’
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, বড় দুই দলের সমাবেশকে ঘিরে এমনিতেই আশঙ্কা আছে। এ জন্য চালকরা রাস্তায় যানবাহন কম নামিয়েছেন। এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলো অনেক বাস ভাড়া করেছে। সে কারণেও বাসের সংখ্যা কম।
সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের এক দফা দাবিতে দুপুরে নয়া পল্টনে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ৩৭টি দলও সমাবেশ করবে ঢাকায়। বিজয়নগর, প্রেসক্লাব, কারওয়ানবাজার, আরামবাগ, পুরানা পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকায় চলবে এসব কর্মসূচি।
বিএনপির কর্মসূচির পাল্টায় দুপুরে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে সেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে আগের রাত থেকেই।