টানা ম্যাচ খেলার ধকল, সাথে জোড়া হারের ধাক্কা। খুব কঠিন সময় যাচ্ছে বাংলাদেশ দলের। এমতাবস্থায় নিজেদের সামলে নিতে বিরতিতে গেছে হাথুরুসিংহে ও তার শিষ্যরা। তিন দিন বিশ্রামে থাকবেন ক্রিকেটাররা। শারীরিক ও মানসিক অস্বস্তি দূর করতেই ক্রিকেট থেকে দূরে থাকা।
ধর্মশালাই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আত্মসমর্পণের পর চেন্নাইতে কিউইদের কাছে ৮ উইকেটে বিধ্বস্ত; ভিন্ন আবহাওয়ায় একসপ্তাহের মাঝে সব মিলিয়ে খেলতে হয়েছে তিনটি ম্যাচ। তাই মানসিকভাবে বেশ দুর্বল হয়ে আছেন ক্রিকেটাররা। এরই মাঝে শনিবার বিকেলে পরের ম্যাচের ভেন্যু পুনেতে পৌঁছেছে। বলা যায় বেশ ক্লান্তিও ভর করেছে সাকিবদের।
বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আগামী বৃহস্পতিবার। স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে খেলবে দল। এর আগে তিন দিনের ছুটি পাচ্ছেন সাকিব আল হাসানরা। আগামী মঙ্গলবার থেকে ফের মাঠে নামবে দল। শুরু হবে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের প্রস্তুতি। পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে দু’দিন অনুশীলনের সুযোগ মিলবে টাইগারদের।
এই নিয়ে দলের সহকারী কোচ নিক পোথাস জানান, ‘আমাদের আপাতত বিশ্রাম দরকার। বিশ্বকাপে একটার পর একটা ম্যাচ দ্রুতই চলে আসে। একেকটি ম্যাচ অনেক চাপের। প্রতিটি ম্যাচই শক্তি অনেক শুষে নেয়। একটা চক্রের ভেতর পড়ে যেতে হয়।’
‘অনুশীলন করলে ফল মিলবে মনে হলেও আসলে তা না। আমাদের ক্রিকেটারদের শারীরিক ও মানসিক বিশ্রাম প্রয়োজন। সতেজ হয়ে আমরা ভারতের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হবো।’
এদিকে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের চোট নিয়েও আছে চিন্তা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট করার সময় পেশিতে টান পড়ে তার। পরে ১০ ওভার বল করলেও ফিল্ডিং করেন কেবল স্লিপে। ম্যাচ শেষে তাকে স্ক্যান করতে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
জাতীয় দলের ফিজিও বায়েজেদুল ইসলাম শুধু জানিয়েছেন, তিনি বাম উরুর কাছে কিছু অস্বস্তি বোধ করছেন। খেলা শেষ হলে তার এমআরআই স্ক্যান করানো হয়। আমরা আসন্ন ম্যাচ সামনে রেখে তার ফিটনেস খেয়াল করব। আমরা ক্লিনিক্যালি তার প্রতিদিনের অগ্রগতি মূল্যায়ন করব এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’