নিরামিষ বা আমিষ যে কোনো রান্নায় স্বাদ বাড়াতে ধনেপাতার জুড়ি মেলা ভার। ডাল, তরকারির মতো রোজকার খাবার থেকে মুড়ি মাখা, ফুচকার মতো মুখরোচক খাবার, সর্বত্রই ধনেপাতার অবাধ যাতাযাত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখে ধনেপাতা।
ধনেপাতায় রয়েছে টারপিনিন, কয়ারসেটিন ও টোকোফেরলের মতো নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টগুলি জারণ ঘটিত ক্ষতি হ্রাস করতে ও প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমাতে কাজে আসতে পারে ধনেপাতা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পাতা শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম বার করে দিতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, ধনেপাতাতে থাকে এমন কিছু উপাদান যা ক্যালসিয়াম, আয়রন ও অ্যাসিটাইল কোলিনের সঙ্গে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে কমায় উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, ভালো থাকে হৃদ্যন্ত্র।
ধনেপাতার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টগুলি রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়াতেও সহায়তা করে। পাশাপাশি, অনেকের মতে ধনেপাতা হজমশক্তি ভালো রাখতে ও ক্ষুধা বাড়াতে সহায়তা করে।
সাম্প্রতিক কিছু গবেষণা বলছে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কাজে আসতে পারে ধনেপাতা। ইঁদুরের উপর করা কিছু গবেষণা বলছে, এই পাতা খেলে শরীরে উৎসেচকের ভারসাম্য বজায় থাকে। আর তার প্রভাবেই ঠিক থাকে গ্লুকোজের মাত্রা।
ধনেপাতার জীবাণুনাশক গুণ রয়েছে। ধনেপাতাতে থাকে ডোডিসেনাল নামক একটি উপাদান যা সালমোনেল্লা ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। তবে মনে রাখতে হবে সবার শরীর সমান নয়, তাই ব্যক্তিভেদে এক একটি খাবারের প্রতিক্রিয়া এক এক রকম হতে পারে। ফলে কোনো খাবার নিয়মিত খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।