টানা ৩২ বছর কারাগারে থাকা আলোচিত জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া (৭৩) অবশেষে মুক্তি পেলেন। শাহজাহানকে ১০ হাজার দণ্ডও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার হাতে টাকা না থাকায় কারা কর্তৃপক্ষ তা মিটিয়ে দিয়েছে।
রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ চন্দ্র ঘোষ।
তিনি জানান, শাহজাহান ভূঁইয়ার মোট সাজা হয়েছিল ৪২ বছর। তার মধ্যে তিনি ১০ বছর ৫ মাস ২৮ দিন রেয়াত পেয়েছেন। প্রায় ৩২ বছরের সাজা শেষে তিনি মুক্তি পেলেন।
জানা গেছে, সাজার মেয়াদ কমানোর বাসনায় কয়েদি থেকে জল্লাদ বনেছিলেন শাহজাহান। জল্লাদ শাহজাহান দেশের সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ফাঁসির প্রধান জল্লাদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৯৭৯ সালে মাদারীপুরে একটি অপারেশন শেষে মানিকগঞ্জে পুলিশ তাকে আটকের চেষ্টা করে। এসময় তাদের ও পুলিশের গুলি বিনিময় হলেও সটকে পড়েন শাহজাহান। এরপর ঢাকা পৌঁছে নরসিংদী যাওয়ার সময় পথে পুলিশ তাকে আটক করে। তারপর থেকেই শুরু হয় তার বন্দি জীবন।
১৯৭৯ সালে আটক হওয়ার আগে ও পরে তার নামে সর্বমোট ৩৬টি মামলা হয়। এর মধ্যে একটি অস্ত্র মামলা, একটি ডাকাতি মামলা এবং অবশিষ্ট ৩৪টি হত্যা মামলা।
কারা সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় ঘাতক, ছয় জন যুদ্ধাপরাধী, কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, জঙ্গি নেতা বাংলাভাই, আতাউর রহমান সানী, শারমীন রীমা হত্যার আসামি খুকু, মনির, ডেইজি হত্যা মামলার আসামি হাসানসহ বাংলাদেশের আলোচিত ২৬ জনকে জনের ফাঁসি দিয়েছেন শাহজাহান। যদিও শাহজাহানের দাবি, তিনি অন্তত ৬০ জনকে ফাঁসি ঝুলিয়ে মৃত্যু কার্যকর করেছেন।