অন্য ভাষায় :
সোমবার, ০৩:০৪ অপরাহ্ন, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী হাটের জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব : এলজিইডির এক কোটি টাকার প্রকল্প স্থগিত

জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৭ মে, ২০২৩
  • ৫৪ বার পঠিত
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের চৌধুরী বাজার নামের একটি হাটের জমির মালাকানা নিয়ে দ্ধন্ধে মামলা দায়েরের কারণে ওই হাটের প্রায় ১ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ রয়েছে। এতে ওই হাটের ক্রেতা বিক্রেতাদের ভোগান্তি চরমে পৌছেছে। জানাগেছে, সম্প্রতি উপজেলার বঙ্গসোনাট ইউনিয়নের চৌধুরী বাজারের হাট সেড নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) প্রভাতি প্রকল্প ১ কোটি ৬ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করে।
প্রকল্প বাস্তবায়নে পুরাতন হাট সেড ভেঙ্গে নতুন প্রকল্পের কাজ শুরু করলে হাটের ৩২ শতাংশ জমির মালিকানা দাবি করে ভূমি মালিকগণ হাটের মাঝখানে একটি সাইনবোর্ড স্থাপন করে এবং গত ৩০ মার্চ কুড়িগ্রাম বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ (২য়) আদালতে মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত কারণ দর্শাও নোটিশ প্রদান করলেও সরকার পক্ষ যথাসময়ে জবাব প্রদান না করায় বিজ্ঞ আদালত ওই জমিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ফলে হাটসেড নির্মাণ প্রকল্পটির কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
পরবর্তিতে সরকার পক্ষ আপত্তি দাখিল করলে আদালত তা মঞ্জুর করে এবং গত ২৫ মে শুনানি শেষে ২৮ মে রায়ের দিন ধার্য করেন। চৌধুরী বাজার এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা আব্দুস সালাম ও জহুরুল ইসলাম বলেন, মামলা মোকাদ্দমার কারণে হাট বসছে রাস্তার উপর। এর ফলে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ভোগান্তি বেড়ে গেছে। একটু বৃষ্টিতেই দোকানের সব মালামাল ভিজে যাচ্ছে। হাটের জমির মালিকানা দাবীকারীদের একজন ও উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুন্নবী চৌধুরী বলেন, মালিকানা দাবীকারীদের অনেকেই এলাকায় না থাকায় বিষয়টি মিমাংষা করা সম্ভব হচ্ছেনা।
তবে শীর্ঘই বিষয়টি মিমাংশা করা হবে। বঙ্গসোরাহাট ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারি কর্মকর্তা লিটন মিয়া বলেন, জনগণের সুবিধার্থে ১৯৬৬ সালে চৌধুরী বাজারটি চালু করা হয় এবং তখন থেকে অদ্যাবধি নিয়মিত সরকারিভাবে হাট ইজারা প্রদান চালু এবং ইজারা লব্দ অর্থ সরকারিভাবে জমা হয়ে থাকে। যা সায়রাত (সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট জমি) রেজিস্টারভুক্ত রয়েছে।
তিনি জানান, হাটের নামে ৮৯ শতাংশ জমি আর.এস রেকর্ড ভুক্ত হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী হারুন উর রশীদ বলেন, মামলা মোকাদ্দমের কারণে প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। মিমাংষা হলে কাজ শুরু করা হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার দেব শর্মা বলেন, সকল কাগজপত্র সরকারের পক্ষে হলেও তারা কেন জমি দাবী করছে তা বুঝতে পারছিনা। তাদের কাগজ পত্র চাওয়া হচ্ছে কিন্ত দেখাচ্ছেনা। #### ২৭-০৫-২

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com