৮ম ‘সাহিত্য দিগন্ত লেখক পুরস্কার-২০২৩’ এর ‘উপন্যাস’ বিভাগে এ বছর পুরস্কার পাচ্ছেন জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক মুর্শিদ উজ জামান।
কবি ও কথাসাহিত্যিক মুর্শিদ উজ জামান ১৯৬৭ সালের ৯ আগষ্ট গাজীপুরের কালিঞ্জের অন্তর্গত ভাদগাতী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর জন্মস্থান ও বেড়ে ওঠা কুমিল্লা শহরের প্রানকেন্দ্র কবি কাজী নজরুল ইসলামের তালপুকুর পাড়ে।
তিমি কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে ১৯৮৩ সালে এস. এস.সি ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন। একই কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন এবং পরবর্তীতে এ.ইউ.বি থেকে এম.বি.এ করে লেখাপড়ার পর্ব শেষ করেন। পেশা হিসাবে বেছে নেন ব্যাবসা এবং হংকংয়ের স্থায়ী বাসিন্দা হিসাবে নিজের ব্যাবসা শুরু করেন। তিনি ‘জামান ইন্টারন্যাশনাল’ হংকংয়ের সিইও। ‘ইউনিকো হসপিটালস পিএলএস’ গ্রীন রোড, ঢাকা এর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান। ‘দ্যা বারাকা’ মদনপুর হাসপাতালের ডাইরেক্টর। ‘আনিছউজ্জামান কল্যান ট্রাষ্ট’ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। ‘কালিগঞ্জ কল্যান সংস্থা’ এর প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়াও তিনি দেশের বিভিন্ন সমাজ কল্যান মূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
বাংলা সাহিত্যানুরাগ থাকলেও কাজের ব্যাস্ততায় মনোযোগী হতে পারেননি। পত্রিকায় ও মযাগাজিনে ছোট ছোট লেখা দেয়া ছাড়া তেমন কোন অগ্রগতি ছিলো না। ২০২০ সালে করোনাতে যখন পুরো পৃথিবী স্হবির তখন থেকেই পুরোপুরি সাহিত্য চর্চা শুরু করেন এবং সাহিত্য জগতে আত্মপ্রকাশ করেন তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘কবিদের কিছু বলেতে নেই’ নিয়ে ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত অমর একুশে বই মেলায়। বইটি পাঠক সমাজে সমাদৃত হয় এবং বিপুল সাড়া জাগায় এবং বইটির প্রকাশক ইন্তামিন প্রকাশন থেকে ‘বেষ্ট সেলার’ এওয়ার্ড পান।
২০২৩ সালে অমর একুশে বই মেলায় প্রকাশিত হয় তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘পাঠক সমাজ’ প্রাকাশক, পাঞ্জেরী প্রকাশন এবং উপন্যাস ‘জীবন ঘুড়ি’ প্রকাশক, প্রতিভা প্রকাশনী।
ইতোমধ্যে তিনি বামতারা চ্যারিটেবল ট্রাস্টের, কোলকাতা এর উদ্যোগে ‘রবীন্দ্র সাহিত্য পুরষ্কার ২০২৩’ লাভ করেন।