চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে শক্তিমান অভিনেত্রী সুচরিতা ও অভিনেতা রুবেলকে বাদ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সদস্যপদ থাকবে কি না তা নিয়ে আজ রোববার সিদ্ধান্ত হবে। ২০২১-২০২৩ মেয়াদে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সুচরিতা কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে এবং রুবেল সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আজ বিকেলে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে শিল্পী সমিতি। সেখানেই এ বিষয় বিস্তারিত জানানো হবে।
ইলিয়াস কাঞ্চন স্বাক্ষরিত শিল্পী সমিতির এক চিঠিতে বলা হয়, কার্যনির্বাহী কমিটির পরপর তিন মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেননি এবং সমিতির উন্নয়নমূলক কোনো কাজে দেখা যায়নি সুচরিতা ও রুবেলকে। তাই তাদের কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে বাদ দেয়া হচ্ছে।
অন্য দিকে সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তারের সই করা চিঠিতে জানানো হয়, জায়েদ খান বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল ও গণমাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করেন। যাতে সমিতির ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ হয়েছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শিল্পী সমিতি জায়েদ খানের সদস্য পদ স্থগিত করতে যাচ্ছে। আজ রোববার সমিতির নবম কার্যনিবাহী সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এ নিয়ে জায়েদ খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের বিষয়টি এখনো কোর্টে চলমান, সেখানে আমার সদস্যপদ বাতিল করে কিভাবে! আমি ভারতে ছিলাম তখন আমাকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেয় যাতে আমি উত্তর না দিতে পারি। যেখানে আমি নির্বাচিত, আমি আমার দায়িত্ব পালন করতে পারছি না। এখন অন্যায়ভাবে আমার সদস্যপদ স্থগিত করতে চাচ্ছে।
জায়েদ আরো বলেন, কারণ দর্শানোর চিঠিতে বলা হয়েছে, ৭ এর ক ধারা মোতাবেক আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ধারাটি এমন যে সংগঠনের উদ্দেশ্য পরিপন্থী ও বিরোধী কার্যক্রম করলে সদস্যপদ স্থগিত করা হবে। কিন্তু এটা পুরোপুরি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে মামলা এখনো বিচারাধীন। সেই বিচারাধীন পদ নিয়ে নিজেকে কিভাবে সাধারণ সম্পাদক দাবি করে তিনি আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন!