অন্য ভাষায় :
শনিবার, ১২:২০ অপরাহ্ন, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী গাজানীতির প্রতিবাদে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের পদত্যাগ ইসরাইলের আলটিমেটাম, যা বলল হামাস ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশী প্রভুদের দাসত্ব করছে : কাদের গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নিহত ১৫ উপজেলা নির্বাচন ঘিরে আ’লীগে কোন্দল চরমে, স্বজনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ মানেননি মন্ত্রী-এমপিরা ফিলিস্তিন সমস্যার ন্যায্য ও স্থায়ী সমাধান চায় চীন

এক বছরে রিজার্ভ কমেছে সাড়ে ২৯ শতাংশ

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩
  • ৪৯ বার পঠিত

বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ কমছেই। গত এক বছরে এ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে। গত বছরের ২২ মার্চ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ছিল যেখানে ৪৪.২৮ বিলিয়ন ডলার, গত ২২ মার্চ তা কমে নেমেছে ৩১.৩০ বিলিয়ন ডলারে। এক বছরে রিজার্ভ কমার হার ২৯.৩১ শতাংশ। অর্থনীতির সর্বশেষ সূচক দিয়ে তৈরি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, চাহিদার তুলনায় বৈদেশিক মুদ্রার সংস্থান হচ্ছে না। যেটুকু আসছে তা দিয়ে আমদানি ব্যয় মেটানো যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে ব্যাংকগুলো গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী পণ্যের এলসি খুলতে পারছে না। তবে, সরকারি ব্যাংকগুলো সরকারের বিশেষ কেনাকাটায় এলসি খুলছে। সমস্যায় পড়ছে দায় পরিশোধের সময় এসে। সরকারি ব্যাংকগুলোর এমনও এলসি আছে যা পাঁচ থেকে ছয়বার ডেফার্ড (দায় মেটানোর জন্য সময় বাড়ানো হয়েছে) করতে হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাংকগুলোর সুনাম ক্ষুণœ হচ্ছে। একই সাথে বারবার সময় বাড়াতে গিয়ে বাড়তি মাশুল গুনতে হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে সরকারি ব্যাংকের এক জন কর্মকর্তা নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, সরকারি কেনাকাটার দায় মেটানোর জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার সংস্থান তারা করতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে সরকারি কেনাকাটার দায় মেটানোর জন্য যে পরিমাণ সহযোগিতা প্রয়োজন তা পাওয়া যাচ্ছে না। মূলত রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণেই বাংলাদেশ ব্যাংক আর আগের মতো রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে পারছে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সতর্কতার সাথে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে। এখন ডলার বিক্রি শুধু সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যেই সীমিত রাখা হয়েছে। এর পরেও চলতি অর্থবছরের ২২ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে রিজার্ভ থেকে। ৯ মাসের কম সময়ে এর আগে এত বিপুল পরিমাণ ডলার বিক্রি আর কখনো করতে হয়নি। এর অন্যতম কারণ হলো ব্যাংকগুলো চাহিদা অনুযায়ী ডলার সংস্থান করতে পারছে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, গত ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৪.৪৭ শতাংশ। একই সাথে রফতানি আয়ও কাক্সিক্ষত হারে বড়েনি। গত ফেব্রুয়ারিতে রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭.৮২ শতাংশ, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৪.৫৪ শতাংশ। আমদানি ব্যয় কমিয়ে আনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। শতভাগ এলসি মার্জিন-ব্যবস্থা চালু করা, বড় অঙ্কের পণ্য আমদানিতে তদারকি জোরদার করা এবং বিলাসজাত পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। আগে পাঁচ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত আমদানিতে তদারকি করা হতো। এখন তিন মিলিয়ন বা ৩০ লাখ ডলারের পণ্য আমদানির জন্য এলসি খুলতে গেলেই বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করতে হচ্ছে। পণ্য আমদানির যৌক্তিক কারণ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অবহিত করতে হচ্ছে। সবমিলেই আমদানির জন্য আমদানি ঋণপত্র খোলার হার আগের চেয়ে কমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, গত বছরের জুলাই-জানুয়ারিতে পণ্য আমদানির প্রবৃদ্ধি হয়েছিল যেখানে ৪৬.২৩ শতাংশ, সেখানে চলতি অর্থবছরের একই সময়ে কমে হয়েছে ঋণাত্মক ৫.৬৬ শতাংশ। কিন্তু বকেয়া এলসির দায় পরিশোধ করতে গিয়েই সামগ্রিক ব্যয় বেড়ে গেছে। এর ফলেই রিজার্ভের ওপর চাপ বেড়ে গেছে।

ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে সবধরনের পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এর পাশাপাশি ডলার সঙ্কটের কারণে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়ে গেছে। আগে যেখানে ৮৬ টাকায় ডলার পাওয়া যেত, এখন সেখানে ১১০ টাকার বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে প্রতি ডলারে। এর ফলে ব্যবসা ব্যয় বেড়ে গেছে। এতে বেড়ে গেছে সামগ্রিক ব্যয়। আর এ ব্যয় সংস্থান করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। যে অবস্থা চলছে তা থেকে উত্তরণের একটাই পথ; ডলারের সরবরাহ বাড়াতে হবে। এ জন্য প্রথমেই হুন্ডি প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ডলার পাচার বন্ধে সবধরনের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশী শ্রমিকের নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করে রেমিট্যান্স-প্রবাহ বাড়াতে হবে। একই সাথে রফতানি আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com