অভিনন্দন ! আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠক লায়ন দিদার সরদার।
৮ম ‘দৈনিক বাঙ্গালীর কণ্ঠ পুরস্কার ২০২৩’ এর ‘(FHBD বর্ষসেরা সংগঠক)’ বিভাগে এ বছর পুরস্কার পাচ্ছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠক লায়ন দিদার সরদার।
দিদার সরদার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠক, সাংবাদিক এবং একজন লেখক ও সাহিত্য প্রেমী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। যিনি প্রবাসে থেকেও অবদান রেখে যাচ্ছেন দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এবং মানবিক বিশেষ কর্মকান্ডের মাধ্যমে এমন একজন উদার মনের মানুষের নাম ‘দিদার সরদার’ বর্তমানে তিনি হংকং এ বসবাস করছেন।
তাঁর জন্ম বরিশাল এর গৌরনদী, গোবর্ধন ৩ নং চাঁদশী ইউনিয়নে। বর্তমান গৌরনদী উপজেলার পৌরসভায় ৪ নাম্বার ওয়ার্ডে দক্ষিণ পালরদী। দিদার সরদারের পিতা মৃত মোহাম্মাদ সেকান্দার আলী সরদার তিনি ছিলেন সৎ আদর্শ ও ধর্মভীরু একজন মানুষ তিনি বিদেশে কাটিয়েছেন জীবনের অনেকটা সময়।
তাঁর দাদা মোহাম্মাদ মুঞ্জুর আলী সরদার একজন ব্রিটিশ আর্মি অফিসার ছিলেন এবং পরবর্তীতে বরিশাল জেলার অন্যতম বিশিষ্ট ঠিকাদার ব্যবসায়ী (প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার) ছিলেন। দিদার সরদারের একাডেমি লেখাপড়া শুরু হয় ৬০ এর দশকে এবং মাধ্যমিক হাইস্কুল ১৯৮০ সালে।তার পর তিনি কলেজ জীবন পার করে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করেছেন। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি ব্যবসা, সমাজসেবা, ক্লাব, মানবাধিকার, সাহিত্য, সাংস্কৃতি, নাট্য সংগঠক হিসেবে নিয়মিত নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন।
তিনি অনেকগুলো প্রত্রিকার সম্পাদক ছিলেন এবং বর্তমানে আছেন। নিজেও করেছেন সাংবাদিকতা এবং বর্তমানেও করছেন। গৌরনদী উপজেলা মিলনায়তন মঞ্চের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন তিনি নিয়মিত আশির দশকে। গৌরনদী শিশু একাডেমি (সঙ্গীত বিদ্যালয়) থেকে তিনি একসময় গীটার ও তবলা বাজানোর প্রশিক্ষণ নেন তৎকালীন সঙ্গীত বিদ্যালয়ে। ওস্তাদ মানিক সাহার অন্যতম সুহৃদ হয়ে সাথেই থাকতেন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে , তাঁর সঙ্গে তিনি অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেছেন। এর ধারাবাহিকতায় এখনো তিনি শিশু একাডেমির কচি কাঁচা শিশুদের জন্য বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা করেন। তিনি একজন লেখক ও কবি। তাঁর যৌথ কাব্যগ্রন্থ অনেকগুলো রয়েছে। বর্তমানেও তিনি লেখালেখি নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন।
তিনি লিও থেকে আন্তর্জাতিক লায়ন্স ক্লাবের বিশেষ পদ পদবীতে বর্তমানে সমাজ ও রাষ্ট্র উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছেন। ১৯৮৯ সাল থেকে প্রবাস জীবন শুরু হয় এথেন্স – গ্রীসে ছিলেন । বিশেষ অবদান ও ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলেই তিনি অর্জন করেছেন অনেক সম্মাননা স্বরুপ এওয়ার্ড। তার মধ্যে অন্যতম অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন থেকে , সম্মাননা স্বরুপ এওয়ার্ড অর্জন করেছেন। Humanities International Hong kong, সেবা ও মানবাধিকার সর্ব প্রধান কর্ম পরিচালনায়। বাংলাদেশ সাহিত্যপ্রেমী পরিষদ থেকে এবং জাতীয় কবি পরিষদ থেকেও অর্জন করেছেন সম্মাননা স্বরুপ এওয়ার্ড।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন কর্মী,সাংবাদিক ও কবি লেখক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব দিদার সরদার বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে নিজেকে ওতোপ্রোতোভাবে যুক্ত রেখে দেশে ও বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
১) সদস্য বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ঢাকা, বাংলাদেশ
২) উপদেষ্টা-পরিচালক জাতীয় কবি পরিষদ, বাংলাদেশ
৩) সাবেক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান পরিচালক বাংলাদেশ সাহিত্যপ্রেমী পরিষদ
৪) সহ-সভাপতি-সুষম নাট্য সম্প্রদায়-ঢাকা-বাংলাদেশ
৫) মেম্বার-আবৃত্তিমেলা (প্রতিষ্ঠাতা-মাহিদুল ইসলাম মাহী)
৬) প্রতিষ্ঠাতা-ইউনাইটেড একশন ফর হিউম্যান রাইটস
৭) ডিরেক্টর-লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ৩১৫ বি ১ বাংলাদেশ
৮) ক্যাবিনেট মেম্বর লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ
৯) লাইভ মেম্বার- লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন
১০) লাইফ মেম্বার-আমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
১১)প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মানবিক উন্নয়ন ( সংকল্প ) গৌরনদী, বরিশাল
১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত পত্রিকা ‘ শতকন্ঠ সাহিত্য নিকেতন’ প্রতিষ্ঠাতা ও প্রকাশক। ‘শত কন্ঠ’ ম্যাগাজিন ত্রৈমাসিক পত্রিকার সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি ছিলেন তিনি। বরিশালে আঞ্চলিক ‘ দৈনিক দক্ষিণের খবর’ পত্রিকার তিনি ডেপুটি এডিটর। বরিশালে আঞ্চলিক ‘ দৈনিক আলোর দিক’ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ছিলেন। জাতীয় কবি পরিষদ থেকে প্রকাশিত ”পয়মন্ত প্রথমা” অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ও উপদেষ্টা তিনি। জাতীয় কবি পরিষদ বরিশাল বিভাগ থেকে প্রকাশিত ” কাব্যকথায় চন্দ্রদ্বীপ ” প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক , সম্পাদকীয় মণ্ডলীর অন্যত পৃষ্ঠপোষক। সময়ের কণ্ঠধ্বনি ত্রৈমাসিক ম্যাগাজিন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক। ‘দৈনিক সময়ের কণ্ঠধ্বনি “পত্রিকার সম্পাদক এবং প্রতিষ্ঠাতা জনাব দিদার সরদার।
দিদার সরদার যে ভাবে দেশ এবং সাংস্কৃতিক নিয়ে ভাবেন:
জনাব দিদার সরদার বলেন, আমাদের মাতৃভূমি মা,মমতা,মায়ায় মাখামাখি। বাংলায় আবেগে আপ্লূত হই বাংলায় কথা বলে। আমাদের ঐতিহ্যবাহী বাংলা সংস্কৃতি কবিতা, সঙ্গীত নাট্যকলা এ আমাদের প্রাণের ভাষায় তাই আমাদের পরিচয় আমরা বাঙ্গালী আমার দেশ বাংলাদেশ। আমার বিবেচনায় আমাদেরএই মায়ার প্রভাব সাহিত্য অনুরাগী-সাহিত্যপ্রেমী মানুষের ওপর পড়েছে। আমার কাছে ফুলের মতো তাঁদের বিবেক বুদ্ধি, প্রজ্ঞা, দর্শন, আদর্শ সবটুকু সৃজনশীল মুক্ত মনের। মানুষকে অনুপ্রেরণা যোগায় তার আচার- আচরণ ভাষা কথার বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে। সে মানুষগুলো হয় স্বাধীনচেতা। সাধারণের চাইতে ব্যতিক্রম! সাহিত্য-সংস্কৃতিমনা। তাঁরা লিখেন,তাঁরা পড়েন, তাঁরা রচনা করেন। আউল, বাউল লালনের দেশে এ সব মুক্তমনার সৃজনশীল মানুষের আবেগে কবিতা ও কবিদের স্থান অগ্রগণ্য। কোন নিয়ম বাঁধন কোন সীমারেখা দিয়ে সাহিত্য বাঁধা যায় না। আমাদের আদর্শ অনুধাবন করেই চলতে হবে। সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি ও সংস্কৃতি কথা আর পোশাকের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়! আমাদের চেতনা হবে প্রগতির, আমাদের চেতনা হবে ঐক্যের, ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে। সমাজকে আলোকিত করতে হবে ধর্ম-কর্ম, সাংস্কৃতিক চর্চায়, শুদ্ধ চিন্তায় ও মানবতায়।
মেহবুবা হক রুমা
Mahbuba Haque Ruma
প্রধান সমন্বয়কারী, অনুষ্ঠান আয়োজন কমিটি