শেষবারের মতো ধানমণ্ডির বাসায় ফিরলেন নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করা প্রবীণ ব্যবসায়ী আবু মহসিন খান। তবে, এসেছেন লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে করে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে এ লাশবাহী গাড়িটি তাঁর বাসায় এসে পৌঁছায়।
আবু মহসিনের জীবন ছিল একাকিত্ব আর নিঃসঙ্গতায় ঘেরা। ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা মহসিন খান হেরে গেলেন স্বজনদের অবহেলার কাছে। তিনি কতটা অবহেলা ও নিঃসঙ্গতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন, সেটি তাঁর নিজের ফেসবুক লাইভের বক্তব্যে ফুটে উঠেছে।
সর্বশেষ নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল মাথায় ঠেকিয়ে গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আত্মহত্যা করেন মহসিন। এর এক ঘণ্টা পর পুলিশ এসে উদ্ধার করে মরদেহ। গতকাল রাতেই লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ময়নাতদন্ত শেষে আজ দুপুরে আরেকবার ধানমণ্ডির বাসায় আনা হয় মহসিনকে।
লাশবাহী গাড়িটি যখন মহসিন খানের বাসায় পৌঁছে, তখন তাঁর মেয়ের স্বামী চিত্রনায়ক রিয়াজ বাদে কোনো স্বজনের দেখা মিলেনি। গাড়ির সঙ্গেও ছিল না কেউ। লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ির চালক ও তাঁর সহকারী মো. রনি নামান মরদেহ। এর ঘণ্টাখানেক পর দুপুর আড়াইটার দিকে মহসিন খানের কয়েকজন স্বজনকে আসতে দেখা যায়।
রিয়াজ বলেন, ‘বাসার পাশের মসজিদে জানাজা হবে। তারপর তাকে দাফন করা হবে রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।’ এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এমন ঘটনা ঘটবে, তা আমরা আগে থেকে বুঝতে পারিনি। আমরা শোকাহত। এখন কিছুই ভাবতে পারছি না।