রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘সব যানবাহনে ভাড়া বেড়েছে শুধু ট্রেনে ভাড়া বাড়েনি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটা সেবামূলক। সাধারণ মানুষের আরামদায়ক চলাচলের কথা চিন্তা করেই কাজ করা হচ্ছে।’
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বোস কেবিনে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এদিন দুপুরে চাষাড়া রেলস্টেশন ও নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনের মধ্যবর্তী লেভেল ক্রসিং গেট টি২ এবং টি১ পর্যন্ত ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণে ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা সরেজমিনে পরিদর্শন করতে নারায়ণগঞ্জে আসেন তিনি।
নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কের ২ নম্বর রেল গেইটের সামনে নিজ গাড়ি থেকে নেমেই পায়ে হেঁটে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীকে সাথে নিয়ে পায়ে হেঁটে ১ নম্বর রেল গেট পর্যন্ত নতুন রেল লাইনের জমি পর্যবেক্ষণ করে বোস কেবিনে আসেন চা পান করতে। এ সময় আলাপচারিতায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন রেলমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ট্রেন চলাচল বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা থেকে পদ্মা লিংক প্রজেক্টের জন্য রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমার মনে হয় এক-দুই মাসের মধ্যে এ কাজ শেষ হয়ে যাবে। তখন আমরা ট্রেন খুলে দিতে পারবো।’
রেলমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আজকের পরিদর্শনের মূল বিষয় আমাদের সমন্বয়ের কিছু বিষয় ছিল। বিশেষ করে সিটি করপোরেশনের সাথে আমাদের কিছু জায়গা ফার্স্ট গেট থেকে স্টেশন পর্যন্ত। ডাবল লাইন যেহেতু হচ্ছে, আমাদের এখানে কিছু জায়গা শর্ট পড়ছিল। সড়কের কিছু অংশ যদি রেললাইনের দাগে আসে তাহলে এ অসুবিধাটা আর হয় না। এগুলো দেখে বাস্তবে এমন ধারণা ছিল যে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মেয়রের সাথে বৈঠকে আমি বলি যে দুজনে মিলে সরেজমিনে দেখি কতটুকু প্রভাব পড়ছে। সেটা দেখতেই আজকে এখানে আসা। রেলের প্রজেক্টের সাথে জড়িত কর্মকর্তারাও এখানে আছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘থিওরিটিক্যালি এ কাজটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। আমার মনে হয় সেটা হবে না। এ রেললাইন নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্যেই হচ্ছে। এ ডাবল লাইন হলে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০টি ট্রেন চলতে পারবে। আমি মেয়রকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি এসেছেন এখানে। আমরাও মাঠের কর্মী। জনগণের সমস্যা সমাধানে আমরা এখানে এসেছি।’