দেশের মানুষ যখন আনন্দমুখর পরিবেশে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছেন, তখন বিএনপির মিথ্যাচার আর বিদ্বেষ প্রসূত বক্তব্য দেশবাসীকে হতাশ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (১১ জুলাই) সকালে তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে পবিত্র ঈদের দিনে বিএনপি মহাসচিবের মিথ্যাচার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে এ মন্তব্য করেন কাদের।
পবিত্র ঈদের দিনে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে বিএনপি নেতারা ঘৃণ্য এবং পরশ্রীকাতর রাজনীতির পরিচয় স্পষ্ট করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যে মানুষের আনন্দ-বেদনার সঙ্গে একাত্ম হতে পারেনা তার প্রমাণ পবিত্র ঈদের দিনে তাদের মিথ্যাচার এবং বিষোদগার।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের এসব অপালাপ ক্ষমতার প্রতি তীব্র হাহাকারের দীর্ঘশ্বাস।
সুশাসন নিশ্চিত করতে এ পর্যন্ত কি করেছে- বিএনপি নেতাদের কাছে এমন প্রশ্ন রেখে কাদের বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের প্রকাশ্য শত্রু, সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ধারক ও উসকানিদাতা, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের প্রশ্রয়দাতা এবং ধর্মান্ধ গোষ্ঠীরও উসকানিদাতা।
কাদের বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে মর্মান্তিক গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনাকারী বিএনপি এদেশের রাজনীতিতে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা যাদের ঐতিহ্য এবং নিয়মিত চর্চার অংশ তাদের মুখে সুশাসনের কথা মানায় না।
আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ বিএনপির সময়কালে দেখানো তথাকথিত সুশাসন মানে জনগণের কণ্ঠরোধ, ভোটারবিহীন নির্বাচন, ভোটাধীকারহরণ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন তাদের সুশাসন মানে বিদ্যুৎহীন খাম্বা, সার আর বিদ্যুতের জন্য মানুষ হত্যা, বিদেশে অর্থ পাচার, সংখ্যালঘু নির্যাতন।
বিদ্যুৎ খাতের ইনডেমনিটির কথা বলার আগে বিএনপি কি ভুলে গেছে – তারাই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্ষার জন্য ইনডেমনিটি দিয়েছিলো উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন অপারেশন ক্লিন হার্টের সময় বেগম খালেদা জিয়াও ইনডেমনিটি দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন বিএনপির ইনডেমনিটি খুনিদের রক্ষা করার জন্য আর শেখ হাসিনা সরকার ইনডেমনিটি দিয়েছে উন্নয়ন অব্যাহত রাখার স্বার্থে, জনগণের কল্যাণে।
বিএনপিই এদেশে চিহ্নিত লুটেরা এবং অর্থ পাচারকারী দল মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদেশের আদালত কর্তৃক প্রমাণিত সন্ত্রাসী দল বিএনপি। তারাই চায় এদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হোক- কিন্তু দেশের জনগণ তা হতে দিবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন কোন ষড়যন্ত্রই শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ধারাকে রোধ করতে পারবেনা।