ঋতু ও তিথি ভেদে নানা নামে চাঁদকে ডাকা হয়। পিঙ্ক মুন, ব্লু মুন-চাঁদের নামের শেষ নেই। তবে ‘ওয়ার্ম মুন’ বা পোকামাকড়ের চাঁদ, এমন নাম শুনেছেন কি?
গত মঙ্গলবার দোলের দিন যে চাঁদ দেখা গেছে, তাকেই ওয়ার্ম মুন বা পোকামাকড়ের চাঁদ বলছেন অনেকে। কারো কারো মতে এটি ওয়ার্ম মুন নয়, ক্রো মুন অর্থাৎ কাক-চাঁদ।
মার্চ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে যে চাঁদ দেখা যায়, তাকেই নাকি বলা হয় ‘ওয়ার্ম মুন’। কিন্তু এর সাথে বিজ্ঞানের কোনো সংযোগ নেই বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। সবটাই নাকি কিংবদন্তি।
এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানী তথা কলকাতার ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স-এর কর্মকর্তা সন্দীপকুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘এর সাথে মহাকাশ বিজ্ঞানের কোনো সম্পর্ক নেই। মূলত আমেরিকা থেকে এই ওয়ার্ম মুনের ধারণাটি এসেছে।’
তার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘আমেরিকায় মার্চ মাস নাগাদ বরফ গলতে শুরু করে। বরফাবৃত গাছের বাকলে লেগে থাকা পোকারা সেই সময় বাইরে বের হয়ে আসে। পোকামাকড় খেকে বিভিন্ন পাখি এসে জড়ো হয়। সে কারণেই এমন নাম দেয়া হয়েছে।’
এমনিতেই বিষুবরেখার নিকটবর্তী দেশগুলোতে এই সময় চাঁদকে অনেক বড় দেখায়। উত্তর আমেরিকার উপজাতিদের একাংশ আবার এই বিশেষ সময়ের চাঁদকে ক্রো মুন বলে থাকেন। তাদের বিশ্বাস এই সময় যে শীতের বিদায়বার্তাকে ঘোষণা করে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা