মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার অনুষ্ঠিত এ টেলিফোনালাপকে ‘সরাসরি ও স্পষ্ট’ বলে বর্ণনা করেছেন ব্লিঙ্কেন।
টেলিফোন সংলাপে তিনি রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন, ইউক্রেনের কোনো অংশকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করার প্রচেষ্টাকে বিশ্ব কখনো মেনে নেবে না। তিনি ল্যাভরভকে আরো বলেছেন, ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রফতানির সুযোগ করে দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি মস্কো দিয়েছে তা তাকে বাস্তবায়ন করতে হবে।
এ সময় ব্লিঙ্কেনকে ল্যাভরভ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, যে লক্ষ্যকে সামনে রেখে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেছে তা মস্কো অর্জন করবেই। তিনি ইউক্রেনের প্রতি আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক সহযোগিতার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখলে তাতে ইউক্রেন যুদ্ধ প্রলম্বিত হওয়া ছাড়া আর কোনো ফল বয়ে আনবে না; কারণ, মস্কো যেকোনো মূল্যে তার লক্ষ্য অর্জন না করা পর্যন্ত অভিযান বন্ধ করবে না।
রাশিয়ার নিরাপত্তা উদ্বেগের প্রশ্নগুলোতে পশ্চিমা দেশগুলোর দীর্ঘ দিনের নির্লিপ্ততার সমালোচনা করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেস্ক ও লুহানস্ক প্রজাতন্ত্রকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন। এর তিন দিন পর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করার নির্দেশ দেন পুতিন। গত পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ অভিযানে এ পর্যন্ত রাশিয়া ইউক্রেনের বেশ কিছু অঞ্চল দখল করেছে।
অন্যদিকে অভিযানে রাশিয়া যাতে ইউক্রেনকে পরাজিত করতে না পারে সেজন্য পশ্চিমা দেশগুলো কিয়েভের প্রতি অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রের ঢল বইয়ে দিয়েছে। রাশিয়া তার ইউক্রেন অভিযান দীর্ঘায়িত হওয়ার জন্য কিয়েভের প্রতি পাশ্চাত্যের অস্ত্র সাহায্যকে দায়ী করেছে।