অন্য ভাষায় :
শনিবার, ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :

দেশে ৪০ দিনের তেল মজুদের সক্ষমতা রয়েছে : কাদের

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২
  • ৬৭ বার পঠিত

বিদ্যুৎ নিয়ে যারা দুর্নীতির কথা বলেন, তারাই প্রকৃতপক্ষে দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় দেশে তেল মজুদের সক্ষমতা ৪০ দিনের রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপির অব্যাহত মিথ্যাচারের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা সরকার বিদ্যুৎ নিয়ে দুর্নীতি করলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৫ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াটে উন্নীত করা সম্ভব হতো না, শিল্পায়নের বিকাশ ঘটতো না, অর্থনীতির সমৃদ্ধি এবং প্রবৃদ্ধি ঘটতো না। বরং শেখ হাসিনা সরকার বিএনপির বেসামাল দুর্নীতি ও লুটপাটের পথ বন্ধ করে দেশের জন্য এনার্জি সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন। দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন বিদ্যুতের আলো।

বিএনপি নেতারা সহজেই তাদের অতীত ভুলে যেতে চাইলেও জনগণ ঠিকই তা মনে রাখেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের সময়কালে দেশে দিনে ১৩ থেকে ১৪ ঘণ্টা লোডশেডিং চলতো।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টরে শেখ হাসিনা সরকার বৈপ্লবিক সাফল্য দেখিয়েছেন এমন দাবি করে- সেতুমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে দেশে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ২২০ কিলোওয়াট, যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৫৬০ কিলোওয়াট। তিনি বলেন, ২০০৯ সালের শুরুতে দেশে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতাভুক্ত ছিল মোট জনসংখ্যার ৪৭ শতাংশ, যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে শতভাগ। ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৩ হাজার ২৬৭ মেগাওয়াট, বর্তমানে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।

শুধু তাই নয়, ২০০৯ সালের শুরুতে দেশে বিদ্যুৎ গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৮ লাখ। ২০২২ সালের এপ্রিলে এসে গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ২৭ লাখ, বলেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় সরকারের সাফল্যে বিএনপি ঈর্ষান্বিত হয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার আশঙ্কা কাটাতে আগাম ব্যবস্থা হিসেবে বাংলাদেশকেও কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। এর অংশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহে রেশনিং করা হচ্ছে, যা একটি সাময়িক পদক্ষেপ।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, একটি মহল ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ভুয়া জিগির তুলছেন, প্রকৃতপক্ষে ভারত থেকে দেশে আমদানিকৃত বিদ্যুতের পরিমাণ মোটের উপর মাত্র ১০ শতাংশ। আবার কেউ কেউ বলছেন, দেশে নাকি ১৩ দিনের অকটেন এবং ১৭ দিনের পেট্রোলের রিজার্ভ আছে। অথচ প্রকৃত সত্য হচ্ছে, সামান্য পরিমাণে বুস্টার ছাড়া দেশে অকটেন ও পেট্রোল আমদানিই করা হয় না। প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রের কনডেনসেট থেকে রিফাইন করে পেট্রোল ও অকটেন তৈরি করা হয়।

আবার কেউ কেউ বলছেন, দেশে তেল মজুদ আছে ৩৭ দিনের, তারা এ কথা বলছেন জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, দেশে তেল মজুদের সক্ষমতা রয়েছে ৪০ দিনের, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিয়ে বিএনপি যে অব্যাহত অপপ্রচার আর মিথ্যাচার করছে, তা নিজেদের ব্যর্থতা আড়ালের অপপ্রয়াস ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, তাদের সময়ে দেশ ছিল অন্ধকারে নিমজ্জিত। তারা দেশের মূল্যবান খনিজ সম্পদ ক্ষমতায় আসার জন্য বিদেশি প্রভুদের হাতে তুলে দিয়েছিল, বিদ্যুতের পরিবর্তে স্থাপন করেছিল খাম্বা।

বিএনপি বিকল্প ক্ষমতা কেন্দ্র হাওয়া ভবন আর খোয়াব ভবন আলোকিত রাখতে গিয়ে সারা দেশকে অন্ধকারে রেখেছিল বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com