বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা ডব্লিউএমও সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপপ্রবাহ, দাবানল এবং রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রাও যেন স্বাভাবিক হয়ে উঠছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ইউরোপে ছড়িয়ে পড়া তীব্র তাপপ্রবাহ আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে, যা তাপমাত্রার রেকর্ড নতুন করে ভেঙে দিতে পারে।
তারা সতর্ক করেন, প্রবল তাপপ্রবাহের মধ্যেকার সময় কমে যাচ্ছে। বর্তমানের এই উচ্চ তাপমাত্রার আগে গত জুন মাসেই প্রথম এত তাপের রেকর্ড ছিল এবং গ্রীষ্ম শেষ হওয়ার আগেই তৃতীয় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা প্রবল।
ডব্লিউএমও-এর মহাসচিব পেত্তেরি তালাস বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনকে ধন্যবাদ, আমরা জাতীয় এবং আঞ্চলিকভাবেও রেকর্ড ভাঙতে শুরু করেছি।
তিনি আরো বলেন, ভবিষ্যতে, এই ধরনের তাপপ্রবাহ স্বাভাবিক হতে চলেছে এবং আমরা এর আরো চরমতম রূপ দেখতে পাব।
বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের বৃদ্ধিকে এই তাপপ্রবাহের কারণ হিসেবে দায়ী করে কৃষিতেও এর বিরুপ প্রভাব পড়বে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এতে যারা সব চেয়ে বেশি ভুগবেন, তারা হলেন বয়স্ক এবং অসুস্থ লোক। তাছাড়া কৃষিতেও এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিবেশ ও স্বাস্থ্য বিষয়ক পরিচালক মারিয়া নীরা বলেন, তাপ শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা খর্ব করে।
আমরা খুব বেশি উদ্বিগ্ন এ কারণে যে যখন এই উচ্চ তাপপ্রবাহ উচ্চ মাত্রার দূষণের সাথে মিলিত হয় তখন তা শ্বাসযন্ত্র, কার্ডিওভাসকুলারসহ সবধরনের সাধারণ রোগের তীব্রতা বাড়িয়ে তুলবে। বড় শহরগুলোর পরিস্থিতি এই উচ্চ তাপমাত্রার সাথে মানিয়ে না নিতে পারার বিষয়টিও তিনি তুলে আনেন।
বিজ্ঞানীরা জোর দিয়ে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তির আনুমানিক সময়ের চেয়েও দ্রুত হচ্ছে। তারা উল্লেখ করেন, অনেক অঞ্চলে উষ্ণতার পরিমাণ শিল্প বিপ্লবের আগের পর্যায়ের চেয়ে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে।