অন্য ভাষায় :
শনিবার, ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :

আজ কবি সুফিয়া কামালের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২১
  • ১১২ বার পঠিত

নারীমুক্তির পথিকৃৃৎ সুফিয়া কামাল। পালিত হচ্ছে গণতান্ত্রিক এবং নারীমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৃৎ কবি বেগম সুফিয়া কামালের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর তিনি মারা যান।

সুফিয়া কামাল ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একদিকে ছিলেন আবহমান বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি, অন্যদিকে বাংলার সব আন্দোলন-সংগ্রামে তার ছিল আপসহীন এবং দৃপ্ত পদচারণা।

মানবতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে এবং অন্যায়, দুর্নীতি ও অমানবিকতার বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার ছিলেন। তার দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রীনিবাসের নাম ‘রোকেয়া হল’ রাখা হয়। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান সরকার বেতারে রবীন্দ্রসংগীত প্রচার নিষিদ্ধ করলে এর প্রতিবাদে আন্দোলন গড়ে তোলেন তিনি। শিশু সংগঠন ‘কচিকাঁচার মেলা’র প্রতিষ্ঠাতা সুফিয়া কামাল। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সৃষ্টিকর্ম ও চিন্তা-চেতনার মধ্য দিয়ে তিনি রাজনীতিবিদ, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিকর্মীদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, কবি সুফিয়া কামালের জীবনাদর্শ ও সাহিত্যকর্ম বৈষম্যহীন-অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করবে। তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন নারী আন্দোলনের পথিকৃৎ এবং সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে এক অকুতোভয় যোদ্ধা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, কবি বেগম সুফিয়া কামাল যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা যুগে যুগে বাঙালি নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। তিনি ছিলেন একদিকে আবহমান বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি, মমতাময়ী মা, অন্যদিকে বাংলার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তার আপসহীন এবং দৃপ্ত পদচারণা। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামসহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তার প্রত্যক্ষ উপস্থিতি তাকে জনগণের ‘জননী সাহসিকা’ উপাধিতে অভিষিক্ত করেছে।

সুফিয়া কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা হোস্টেলকে ‘রোকেয়া হল’ নামকরণের দাবি জানান। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান সরকার রবীন্দ্রসঙ্গীত নিষিদ্ধ করলে এর প্রতিবাদে গঠিত আন্দোলনে কবি যোগ দেন। তিনি শিশু সংগঠন কচিকাঁচার মেলা প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর সুফিয়া কামাল মৃত্যুবরণ করেন। তাকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে তিনিই প্রথম এ সম্মান লাভ করেন। সুফিয়া কামালের লেখা কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে-সাঁঝের মায়া, মায়া কাজল, মন ও জীবন, দিওয়ান, আভিযাত্রিক ইত্যাদি। ‘কেয়ার কাঁটা’ নামে একটি গল্পগ্রন্থ ছাড়াও তিনি ভ্রমণ কাহিনি, স্মৃতিকথা, শিশুতোষ এবং আত্মজীবনীমূলক রচনাও লিখেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com