বৃহস্পতিবার, ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
ছাত্রদল নেতার গুদামে সাড়ে ১৭ লাখ টাকার ভারতীয় কম্বল-সিগারেট যে ১২ নির্দেশনা দিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল কাদের আসেন, আমার বাসায় আসেন: মির্জা ফখরুল পিআইবির মহাপরিচালক হলেন ফারুক ওয়াসিফ চাকরির বয়সসীমা ৩৫ চান প্রশাসন ক্যাডাররা, জনপ্রশাসনকে জানাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বন্যা দেখতে গিয়ে নদীতে পড়ে গেলেন দুই এমপি ফ্যাসিবাদে জড়িত কবি, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের আইনের আওতায় আনা হবে গণহত্যায় উসকানিদাতা কবি-সাংবাদিকদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে : নাহিদ ইসলাম সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুফল পাবে জনগণ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আমরা সরকারকে সময় দিতে চাই : মির্জা ফখরুল

আজও থামেনি রিফাতের বাবার আর্তনাদ, মায়ের আহাজারি

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৭ জুন, ২০২২
  • ৯১ বার পঠিত

২০১৯ সালের ২৬ জুন। বরগুনা শহরের কলেজ রোডে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফকে। ইতোমধ্যে পেরিয়ে গেছে তিন বছর। ছেলে হারানোর শোকে আজও থামেনি আবদুল হালিম দুলাল শরীফের আর্তনাদ।

অন্যদিকে বুকের মানিক হারিয়ে কবরের পাশে গিয়ে এখনো আহাজারি করছেন মা ডেইজি বেগম। স্বজনসহ বরগুনাবাসীর দাবি একটাই উচ্চ আদালতে আপিলের শুনানি শেষ করে রায় দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়।

সোমবার রিফাত শরীফের কবরের পাশে কান্নাজড়িত কণ্ঠে মা ডেইজি বেগম বলেন, বাবারা ছেলেকে ছাড়া আমি আর থাকতে পারি না। আমি চাই উচ্চ আদালতের আপিলের শুনানি শেষে রায় বাস্তবায়ন হোক।

নিহত রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বলেন, রিফাত আমার একমাত্র ছেলে ছিল। এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সুখের সংসার ছিল আমার। মিন্নির কারণে সেই সুখের সংসার ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের ছেলে হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যকর হলে হয়তো কিছুটা সান্ত্বনা পাব। এ মামলার দ্রুত বিচার শেষে রায় বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি।

আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, এ মামলার আপিল উচ্চ আদালতে এখন পর্যন্ত শুনানি হয়নি। সকল আপিলই শুনানির জন্য আছেন। কিন্তু পাঁচজন অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি হওয়ায় তারা জামিনে আছেন। যে ছয় জনের দশবছর করে সাজা হয়েছিল তাদের এখন পর্যন্ত জামিন হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয় আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ওই বছরের ২৭ অক্টোবর অপ্রাপ্তবয়স্ক ১১ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন জেলা শিশু আদালত। রায়ের পর দণ্ডিত সব আসামি উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। এখন সেই আপিল শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়াও এ মামলায় দণ্ডিত ১৭ আসামির মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক ৫ জন জামিনে রয়েছেন।

এ মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান ওরফে টিকটক হৃদয়, মোঃ হাসান ও স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com