আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের ইস্যুটি আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে খ্রিস্টান ফোরামের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘হঠাৎ করে পিআর পদ্ধতির দাবি সামনে এনে আন্দোলন করার বিষয়টি পরিষ্কার নয়। বিষয়টি আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। সেখানে সিদ্ধান্ত হবে পরবর্তী নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে। এখন পিআর দিলে জনগণ বুঝবেই না, এটা আসলে কী।’
তিনি জানান, সংসদের উচ্চকক্ষে সব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি রাখা হবে। চার কোটি বেকারের সংকট সমাধানে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি। দল ক্ষমতায় এলে দেড় বছরে এই সমস্যার সমাধান হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে জনগণ প্রমাণ করবে যে বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থেই একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে চেষ্টা চলছে। তবে সেটা বিঘ্নিত করার জন্য নানা রকম অপচেষ্টা দেখা যাচ্ছে।’
পরে সংসদ পদ্ধতির প্রসঙ্গে তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি উচ্চকক্ষের কথা বলেছে। এটি নতুন অভিজ্ঞতা। কিন্তু নিম্নকক্ষ অবাস্তব।
এর আগে গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পিআর পদ্ধতি নিয়ে আন্দোলনের লক্ষ্যই হচ্ছে ‘নির্বাচন বিলম্বিত করা’ এবং এটা জনগণ গ্রহণ করবে না বলে জানান তিনি।