সোমবার, ০২:০৯ পূর্বাহ্ন, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

সরাসরি আলোচনায় বসেছে ভারত-পাকিস্তান

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫
  • ১৪ বার পঠিত

ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পাকিস্তান ও ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা (এনএসএ) সরাসরি যোগাযোগ করেছেন। এটি দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা কমানোর প্রচেষ্টারই অংশ বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পাকিস্তানের এনএসএ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ও আইএসআই প্রধান আসিম ভারতের অজিত ডোভালের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, পাকিস্তান ও ভারতের এনএসএরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।’ তবে আলোচনার বিস্তারিত বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই যোগাযোগের পেছনে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টার বড় ভূমিকা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও এনএসএ মার্কো রুবিও পাকিস্তান ও ভারতের এনএসএদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেছেন বলেও জানা গেছে।

ভারতের হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান দ্রুত ও কৌশলগতভাবে জবাব দিয়েছে। পাকিস্তান জানিয়েছে, ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে আধুনিক ফোর পয়েন্ট ফাইভ জেনারেশনের ফ্রেঞ্চ তৈরি ‘রাফালে’ যুদ্ধবিমান। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেছেন, পাকিস্তান চাইলে ১০টি ভারতীয় জেট গুলি করে নামাতে পারত, কিন্তু তারা সংযম দেখিয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এই ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়নি। এমনকি ‘দ্য হিন্দু’ প্রথমে তিনটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার খবর দিলেও পরে তা সরিয়ে ফেলে। এক মার্কিন বিশ্লেষক সিএনএনকে বলেন, যদি রাফালে যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয়ে থাকে, তবে তা ভারতের জন্য বড় ধাক্কা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংঘর্ষ ছিল এক অর্থে চীনা ও পশ্চিমা প্রযুক্তির মধ্যে এক সরাসরি পরীক্ষামূলক লড়াই। পাকিস্তান সম্প্রতি চীনের জে-১০সি যুদ্ধবিমান যুক্ত করেছে, যা ভারতের রাফালের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত। এক ফরাসি গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, এটি ছিল প্রথমবারের মতো কোনো রাফালে যুদ্ধবিমান যুদ্ধক্ষেত্রে ভূপাতিত হওয়া।

মার্কিন বিশ্লেষকের ভাষায়, ‘এটি বড় ধরনের অগ্রগতি এবং প্রমাণ করে চীনের প্রযুক্তি এখন বিশ্বমানের।’

২০১৯ সালের বালাকোট হামলার সময় পাকিস্তান বিস্মিত হয়েছিল। তখন প্রতিক্রিয়া জানাতে একদিন সময় নিয়েছিল। কিন্তু এবার পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া ছিল তাৎক্ষণিক ও সুসংগঠিত। সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে আগে থেকেই সুস্পষ্ট নির্দেশনা ছিল—যদি ভারত আঘাত হানে, তবে প্রতিশোধ হবে ‘কুইড প্রো কো প্লাস’ নীতিতে—অর্থাৎ সমানতালে নয়, বরং অতিরিক্তভাবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত-পাকিস্তান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সরাসরি যোগাযোগ এবং পাকিস্তানের রাফালে ভূপাতিত করার দাবি দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত স্থিতিশীলতার জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ। একইসঙ্গে চীনা সামরিক প্রযুক্তির বিকাশ এই অঞ্চলে সামরিক ভারসাম্য বদলে দেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com