ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যকে মারধর ও ইউনিফর্ম ছিড়ে দেওয়ার অভিযোগে শাওন ইসলাম সবুজ নামে এক ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শাওন ইসলাম সবুজ শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোড এলাকার মো. শাহিনের ছেলে। তিনি যশোর সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।
যশোরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মাহফুজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ট্রাফিক পুলিশ সদস্য শরিফুল ইসলাম শহরের জেল রোডে শনিবার রাত ৯টার দিকে দায়িত্বরত অবস্থায় ছিলেন। ব্যস্ততম ওই স্থানে রাস্তার ওপর মোটরসাইকেল রেখে আড্ডা দিচ্ছিলেন শাওন ও তার কয়েক বন্ধু। এতে সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়।
পরে ওই পুলিশ সদস্য তাকে মোটরসাইকেল সরিয়ে নিতে বলেন। এ সময় উত্তেজিত হয়ে ছাত্রদল নেতা শাওন বলেন, ‘তোর টিআই আমাকে গাড়ি সরাইতে বলতে পারে না, আর তুই গাড়ি সরাইতে বলিস, তোর এত সাহস কীভাবে হয়।’
তারপরও বাইকটি সরাতে বললে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই পুলিশ সদস্যের মুখে ঘুষি মারেন এবং ইউনিফর্ম ছিড়ে দেন শাওন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে সাধারণ জনগণের সহায়তায় তাকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় ওই ট্রাফিক পুলিশ সদস্য কোতয়ালি থানায় ছাত্রদল নেতা শাওনসহ অজ্ঞাত আরও একজনের বিরুদ্ধে সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা ও মারধরের অভিযোগে মামলা করেছেন।
জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার নূর -ই- আলম সিদ্দিকী জানিয়েছেন, দায়িত্বরত অবস্থায় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি একজন পুলিশ সদস্যকে মারধর এবং ইউনিফর্ম ছিড়ে ফেলেন। তার নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় শাওন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজেদুর রহমান সাগর বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা বিব্রত। ব্যক্তির দায় সংগঠন নেবে না। সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’