সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সংগঠন ‘অফিসার্স ক্লাব’ ঢাকার ১০৬ জনের সদস্যপদ স্থগিত করেছে বর্তমান কমিটি। তাদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিবসহ ৭০ জন সচিব রয়েছেন। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, সাবেক সংসদ সদস্য ও পুলিশের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তারা রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে অফিসার্স ক্লাবকে রাজনৈতিক আখড়ায় পরিণত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভায় তাদের সদস্যপদ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি তা কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র। সদস্যপদ স্থগিত হওয়াদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমি ক্লাবের তিনবারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। অথচ বিনা কারণে আমার সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে।
অফিসার্স ক্লাবের চেয়ারম্যান ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদের বক্তব্যের জন্য একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। সাধারণ সম্পাদক এবিএম আব্দুস সাত্তারকেও ফোন করা হয়েছে। তিনিও সাড়া দেননি। তাকে খুদেবার্তাও পাঠানো হয়েছে। তবুও সাড়া মেলেনি।
সদস্যপদ স্থগিতের তালিকায় আছেন সদ্য সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার, সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, সাবেক মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, সাবেক মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, সাবেক জনপ্রশাসন সচিব আব্দুস সোবহান সিকদার, সাবেক সচিব ইকবাল মাহমুদ, সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন তালুকদার, সাবেক সচিব নাসিমা বেগম, সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, সাবেক সচিব ও এমপি ড. মোহাম্মদ সাদিক, সাবেক সচিব ও দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, মমিনুন্নেছা মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহের অধ্যক্ষ কাজী কাইয়ুম শিশির, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, ডিএমপির সাবেক কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, ডিএমপির সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক এসপি প্রলয় কুমার জোয়ারদার, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক সচিব ও মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, সাবেক সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রাহমাতুল মুনিম, সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, সাবেক সচিব সাজ্জাদুল হাসান, সাবেক সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, সাবেক সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, সাবেক সচিব আবদুল মান্নান, সাবেক সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, সাবেক সচিব আবদুল মান্নান হাওলাদার, সাবেক সচিব ওয়াহিদা আক্তার, সাবেক সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সচিব মাকছুদুর রহমান পাটোয়ারী, সাবেক সচিব মো. মহিবুল হক, সাবেক সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সচিব এম এ এন সিদ্দিক, সাবেক সচিব শাহজাহান আলী মোল্লা, সাবেক সচিব ইকবাল খান চৌধুরী, সাবেক সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আনছার আলী খান, সাবেক সচিব বরুণ দেব মিত্র, সাবেক সচিব মরতুজা আহমদ, সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, সাবেক সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেন, সাবেক সচিব সুরাইয়া বেগম, সাবেক সচিব ড. এম. আসলাম আলম, সাবেক সচিব মো. নিয়াজ উদ্দিন মিঞা, সাবেক সচিব চৌধুরী বাবুল হাসান, সাবেক সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান, সাবেক সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, সাবেক সচিব আবদুল মালেক, সাবেক সচিব জিল্লার রহমান, সাবেক সচিব ইব্রাহীম হোসেন খান, সাবেক সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সাবেক সচিব পবন চৌধুরী, সাবেক সচিব অপরূপ চৌধুরী, সাবেক সচিব শামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী, সাবেক সচিব আখতারী মমতাজ, সাবেক সচিব শাহ কামাল, সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমার রায়, সাবেক সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, সাবেক সচিব মেজবাহ উদ্দিন, সাবেক সচিব ও উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সাবেক সচিব ও উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস, সাবেক মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম সচিব এ. এস. এম. মামুনুর রহমান খলিলী, নাটোরের সাবেক ডিসি আবু নাছের ভূঞা, সাবেক জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহমদ, সিএমপির সাবেক কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, সাবেক ডিআইজি বিনয় কৃষ্ণ বালা, সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান, সাবেক ডিসি মো. মোখলেছুর রহমান, সাবেক সচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, এনবিআরের সাবেক সদস্য মতিউর রহমান, সাবেক সচিব জাফর আহমদ খান, সাবেক মো. আখতার হোসেন, সাবেক সচিব খান মো. বেলায়েত হোসেন, সাবেক সচিব ও এমপি সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, সাবেক সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সচিব মো. আবুল মনসুর, সাবেক আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, সাবেক জনপ্রশাসন সচিব কে. এম. আলী আজম, সাবেক পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম, সাবেক সচিব অশোক মাধব রায়, সাবেক সচিব নাছিমা বেগম, সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব খান, সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার, ডিবি মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, উপ কর কমিশনার মহিদুল ইসলাম, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মেহনাজ মোশারফ, সহকারী কর কমিশনার লিংকন রায়, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মোবাশ্বেরা হাবিব খান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেজিস্ট্রার গাইনি ডা. লায়লা খায়রুন নাহার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের সহকারী স্থপতি ইফতেখারুল আমিন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার (মেডিসিন) ডা. যোবায়ের আনম চৌধুরী, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. ওয়ালিদ বিন কাশেম, সহকারী পুলিশ কমিশনার সচিব মো. শিবলী নোমান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী নাবিলা তাবাসসুম, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ এনাম রেজা, সহকারী এ্যরোডম কর্মকর্তা মাহমুদুল হক সৈকত, সাবেক এপিডি মো. নাজমুছ সাদাত সেলিম, সাবেক জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসূফ হারুন এবং সাবেক সচিব মোহাম্মদ হোসেন সেরনিয়াবাত।