‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগান নিয়ে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মেগা প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে পদযাত্রা শুরু করেছে ‘তিস্তা রক্ষা আন্দোলন কমিটি’।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার পরে এ কর্মসূচি শুরু হয়। উত্তরাঞ্চলের পাঁচ জেলায় ১১টি পয়েন্টে এ কর্মসূচি একসাথে শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার রংপুর ও লালমনিরহাট জেলার তিস্তা রেলওয়ে সেতু-সংলগ্ন চর পয়েন্টে তিস্তা রক্ষা ও মহাপরিকল্পনা বাস্তাবায়নের দাবিতে দু’দিনের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সমাবেশে যোগ দেয় এ অঞ্চলের সর্বস্তরের লাখো মানুষ। ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে এদিন একইসাথে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার ১১টি পয়েন্টে সমাবেশ, পদযাত্রা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করছে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি’। টানা ৪৮ ঘণ্টার এ কর্মসূচি চলছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচিতেও সকাল থেকেই তিস্তা নদীর তীরে জমে উঠেছে মানুষের ঢল। স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে রংপুরের তিস্তা ঘাট এলাকা। সেইসাথে সোমবার থেকে তাঁবু বসিয়ে রাত্রিযাপন করেছে তিস্তা পাড়ের মানুষ। প্রতিবাদ হিসেবে দেশীয় সংগীত, নৃত্য, খেলাধুলাও চলছে।
আজও তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে টানা ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিতে হাজারো মানুষ জড়ো হয়েছে লালমনিরহাটের তিস্তা রেলসেতুর নিচে।
তিস্তা নদীর বুকে দু’দিনের কর্মসূচিতে শুধু ক্ষোভই নয়, জেগে উঠেছে আশার আলো। মানুষের চোখে-মুখে লড়াইয়ের দৃঢ়তা। তিস্তা নদী রক্ষার এই আন্দোলন শুধু একটি নদীর জন্য নয়, এটি বাংলাদেশের প্রকৃতি, কৃষি ও মানুষের জীবিকার লড়াই। ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’- স্লোগান আজ হাজারো মানুষের কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে, যেন তিস্তা আবারো প্রাণ ফিরে পাবে এমন প্রত্যাশা তিস্তা পাড়ের মানুষগুলোর।