মঙ্গলবার, ০২:২৯ পূর্বাহ্ন, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ঠা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
গৌরনদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫ উদ্বোধন গৃহযুদ্ধের মাঝেই মিয়ানমারে নির্বাচন, কী চাইছে জান্তা? ডাকসু নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল তৈরি করা হয়েছে: উমামা ফাতেমা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলার আবেদন হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে মাই টিভির চেয়ারম্যান সাথী এস এম মনিরুজ্জামান মনির বাউরগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের শুনানি শুরু ২৪ আগস্ট ১৮ বছর আগে বরখাস্ত হওয়া ৩২৮ কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ নতুন বিতর্কের মুখে জুলাই শহীদদের ফ্ল্যাট প্রকল্প জুলাই হত্যাযজ্ঞ : শেখ হাসিনা-কামালের বিরুদ্ধে পঞ্চম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

৫০ বছরেও সংস্কার নেই সুগন্ধা-বিষখালির, ভাঙন আতঙ্কে হাজারো পরিবার

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩
  • ১১৩ বার পঠিত

সুগন্ধা আর বিশখালির ভাঙনে ৫০ বছর ধরে বিলীন হচ্ছে জনপদ। ঝালকাঠিতে নদীপারের ২৫ গ্রামে ভাঙনে দিশেহারা হাজার হাজার পরিবার। দফায় দফায় বাড়ি ছেড়েও রক্ষা মিলছে না। আসন্ন বর্ষা মৌসুম নিয়ে শঙ্কায় নদীপারের মানুষের চোখে ঘুম নেই। স্থানীয়রা জানান, সুগন্ধা ও বিশখালি নদীপারের অসংখ্য পরিবারকে ভিটেমাটি ছাড়তে হয়েছে কয়েক দফায়। রাক্ষুসে নদী সবকিছু কেড়ে নেয়ায় হাজার হাজার পরিবার আজও এলাকাছাড়া। যারা রয়েছে, তারাও ভাঙনে সব হারিয়ে দরিদ্রতায় দিন কাটাচ্ছেন। ঝালকাঠি সদরের চরভাটারাকান্দা, সাচিলাপুর, দিয়াকুল, শেখেরহাট, কুতুবনগর-নলছিটি উপজেলার তিমিরকাঠি, বহরমপুর, ষাটপাকিয়া, কাঠিপাড়া, মগড়-রাজাপুর উপজেলার পালট, বড়ইয়া, মানকি ও সুন্দরসহ ২৫টিরও বেশি গ্রাম বিলীন হচ্ছে ৫০ বছরেও বেশি সময় ধরে।

সরেজমিন দেখা যায়, তিন উপজেলা লাগোয়া পাঁচ নদীর মোহনায় সুগন্ধা-বিশখালি নদী দুটির মিলনস্থল। আর এর আশপাশের গ্রামগুলোর মানুষকেই প্রতিবছর ভাঙনের সঙ্গে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতির কবলে পড়তে হয়। কিন্তু এত বছরেও ভাঙন রোধে এলাকাগুলোতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় ভাঙনকূলের মানুষের চোখে-মুখে আক্ষেপ আর বেদনার ছাপ তীব্রভাবে ফুটে উঠেছে।

বিশখালি পাড়ের কৃষক আব্দুস সোবাহান বলেন, ‘এ নিয়ে তিনবার ভিটা পরিবর্তন করেছি। বারবার বাড়ি ছাড়ি আর নদীও যেন ভেঙে ভেঙে পিছু পিছু আসে।’ নলছিটি উপজেলার বহরমপুর গ্রামের প্রবীণ রহম আলী বলেন, ‘আমার বাপ-দাদার সময় থেকেই রাক্ষুসী নদী গ্রাস করছে। এখনও ভেঙেই চলছে। গ্রামের অনেক মানুষ নদীভাঙনে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে।’

এ ব্যাপারে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা জানান, নদীভাঙন ঠেকাতে প্রথম পর্যায়ে সাতটি স্থানে ১৩ কিলোমিটার এলাকায় ব্লক ডাম্পিংয়ের জন্য ৮৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, তা অনুমোদন হলে নদীপারের মানুষজনকে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করা যাবে। প্রসঙ্গত, জেলা পানি উন্নয়ন বিভাগের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে স্থানীয়দের দাবি, সুগন্ধা ও বিশখালি নদীর ভাঙনে এখন পর্যন্ত ৫০০ পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছে। এখন পাঁচ হাজারেরও বেশি পরিবার ভাঙনের কবলে পড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com