ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জোট গঠনের তৎপরতাও বাড়ছে। ইতোমধ্যে বিএনপি তাদের শরিকদের সঙ্গে নির্বাচনী আসন সমঝোতা করেছে। অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জামায়াতে ইসলামী-র মধ্যে নির্বাচনী জোট গঠনের আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকলেও এখনও ঘোষণা আসেনি। তবে এই জোট গঠনের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন এনসিপির নারী নেত্রীরা। এনসিপি ইতোমধ্যে শাপলা কলি প্রতীক নিয়ে শতাধিক আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা আবদুল কাদের দাবি করেছেন, এনসিপি ও জামায়াতের মধ্যে জোট চূড়ান্তের পথে। তিনি একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, এনসিপি জামায়াতের সঙ্গে সরাসরি জোট বাঁধতে যাচ্ছে। সব ঠিক থাকলে শীঘ্র এই জোটের ঘোষণা আসতে পারে। তার দাবি, প্রাথমিকভাবে এনসিপি ৫০টি আসন চাইলেও দরকষাকষিতে ৩০টি আসনে রফা হয়েছে। এই শর্তে এনসিপি বাকি ২৭০ আসনে প্রার্থী দিতে পারবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এনসিপির আরেকটি অংশ জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার পক্ষে। জামায়াতের পক্ষ থেকে ৩০ থেকে ৩৫টি আসন ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে বলেও জানা গেছে। পাশাপাশি, এসব আসনে জনবল ও আর্থিক সহযোগিতা-রও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে, নারী নেত্রীদের দৃঢ় অবস্থান এবং দলের অভ্যন্তরীণ বিভাজন এনসিপি-জামায়াত জোটের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তকে অনিশ্চয়তার মুখে ফেলেছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনৈতিক মেরুকরণ কোন দিকে মোড় নেয়, সেটি এখন সময়ই বলবে!