দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনা নেতা শি জিনপিংয়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শুরু হয়েছে। যেখানে তারা বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবেন।
বৈঠকের শুরুতে দুই নেতাই একে অপরের প্রশংসায় মেতে উঠেছেন। যদিও এটি সাধারণ কূটনৈতিক চর্চা, বিশেষ করে যখন দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্য থাকে। এই ধরনের প্রশংসা প্রায়শই পারস্পরিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে এবং একটি ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করে।
সিএনএন সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকের শুরুতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখায় প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভিন্ন জাতীয় পরিস্থিতির কারণে সব সময় একমত হওয়া সম্ভব নয়। বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে মাঝে মাঝে কিছু বিরোধ হওয়া স্বাভাবিক।’
তবে শি বলেন, পার্থক্য থাকলেও দুই নেতার উচিত সম্পর্কের সঠিক দিক বজায় রাখা এবং চীন-মার্কিন সম্পর্কের ‘বৃহৎ জাহাজটি’ যেন স্থিতিশীলভাবে এগিয়ে যেতে পারে তা নিশ্চিত করা।
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে আমি বহুবার বলেছি, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের উচিত বন্ধু ও সহযোগী হিসেবে থাকা। ইতিহাস আমাদের এ কথাই শিখিয়েছে, আর বর্তমান বাস্তবতাও তা দাবি করছে।’
শি জিনপিং ট্রাম্পের সাম্প্রতিক কূটনৈতিক ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ‘গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পাদনে আপনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া শান্তিচুক্তির সাক্ষী হওয়ায় আমি কৃতজ্ঞ।’
এদিকে ট্রাম্পও তার “বন্ধু” চীনের নেতা শি জিনপিংয়ের প্রশংসা করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় বসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘অনেক দিন ধরে আমার একজন বন্ধুর সঙ্গে থাকতে পারাটা সত্যিই সম্মানের।’
ট্রাম্প শিকে “বিশিষ্ট ও সম্মানিত” এবং “একটি মহান দেশের মহান নেতা” হিসেবে প্রশংসা করেন।