বৃহস্পতিবার, ০২:১১ অপরাহ্ন, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

ছাগল চুরির সন্দেহে শিক্ষককে পেটালেন এএসআই

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০২২
  • ১১৭ বার পঠিত

বগুড়ার সোনাতলায় ছাগল চোর সন্দেহে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক রশিদুল ইসলামের পিটুনিতে কলেজ শিক্ষক আব্দুল আলিম (৪৫) আহত হয়েছে। বর্তমানে তাকে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার বেলা ২টার দিয়ে সোনাতলা পৌর এলাকার গড়ফতেপুর এলাকার এ ঘটনা ঘটে। আহত আব্দুল আলিম গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাড়া মাদ্রাসার প্রভাষক এবং সোনাতলা পৌর এলাকার গড়ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা।

এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার দুপুর ২টার সময় আব্দুল আলিম দুটি ছাগল নিয়ে মাঠে চড়াতে যায়। এ সময় সোনাতলা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক রশিদুল ইসলাম ওই প্রভাষককে ছাগল চোর হিসেবে সম্বোধন করে। রশিদুল ওই প্রভাষককে উদ্দেশ্য করে বলেন ‘তুই কি ছাগল চোর?’।

এ সময় ওই শিক্ষক পুলিশের কাছে এমন প্রশ্ন করার কারণ জানতে চাইলে রশিদুল উত্তেজিত হয়ে কলেজ শিক্ষকের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তখন ওই শিক্ষক রাস্তার পাশে রাখা ইটের উপর পড়ে গেলে শিক্ষকের গলায় থাকা গামছা দিয়ে তার গলা পেচিয়ে ধরে। এ ছাড়াও তার মাথায় আঘাত লাগায় মাথা ফেটে যায়। এতে করে ওই শিক্ষক গুরুতর আহত হয়েছে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সোনাতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ বিষয়ে ওই কলেজ শিক্ষকের ছোট বোন মুন্নুজান জানান, তাদের ৮ ভাই বোনের মধ্যে ৫ ভাই বোন শিক্ষক। এছাড়াও তার বাবা ছিলেন একজন কলেজ শিক্ষক। তার ভাইকে চোর বলায় তাদের শুধু ব্যক্তিগত নয় পারিবারিক সম্মানেও আঘাত হেনেছে।

এ ব্যাপারে ওই কলেজ শিক্ষক আব্দুল আলিম জানান, ‘বেলা ২টার সময় আমি নিজের ২টি ছাগল নিয়ে মাঠে খাওয়ানোর জন্য যাচ্ছিলাম। ঠিক সেই সময় পুলিশ সদস্য রশিদুল ইসলাম আমাকে ছাগল চোর বলে সম্বোধন করে। এরপর আমার উপর হামলা চালায়। এছাড়াও ওই পুলিশ সদস্য আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে রাখে। এছাড়াও তার হাতে থাকা কি একটা জিনিস দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে। এতে করে আমার মাথা ফেটে যায়।’

ওই পুলিশ সদস্যের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে এ ঘটনার পর থেকে সোনাতলা থানার পুলিশ সদস্যদেরকে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য দেন দরবার করতে দেখা গেছে।

সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন জানান, ‘এটি একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। বিষয়টি আমরা স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার জন্য এক কাউন্সিলরকে দায়িত্ব দিয়েছি। রাত ১০ টায় এ বিষয়ে থানায় দুপক্ষকে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com