বাগেরহাটে অফিস ও আদালত অবরুদ্ধ করে রেখেছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা। মূলত, চারটি আসন বহালের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে তারা।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন। পরে মিছিল নিয়ে তারা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে যান।
এ সময় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেন মিছিলকারীরা। তারা বাগেরহাটে চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
এ ছাড়াও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও জেলা দায়রা জজ আদালতের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগানে আন্দোলন করছেন মিছিলকারীরা।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান দীপু, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক খাদেম নিয়ামুন নাসির আলাপ, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মদ ইউনুস, জেলা জামাতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ফকির তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সীমানা পরিবর্তনে বাগেরহাটবাসী এই সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেবে না। আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।
স্বল্প সময়ের মধ্যে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলে জানান ওয়াহিদুজ্জামান দিপু। তিনি বলেন, আমরা উচ্চ আদালতে রিট করার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। আশা করি আগামী সপ্তাহে শুনানি হবে। আমরা কাঙ্ক্ষিত সুবিধা পাব।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটবাসী। এরপরও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনই জারি রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশনের এই আসনবিন্যাস গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে জানান সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩(কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)। দীর্ঘদিন থেকে ৪টি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। তখনকার সীমানা: বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।