সিলেটে জ্বলে উঠলেন তাসকিন আহমেদ। আর তার দুরন্ত বোলিংয়ে লড়াই করার মতো পুঁজি স্কোরবোর্ডে দিতে পারেনি নেদারল্যান্ডস ক্রিকেট দল। তাসকিন ফিটনেস নিয়ে ইদানীং কাজ করছেন। ওজন অনেকটাই কমিয়েছেন। আর হাতেনাতে ফল পেলেন। গতি ও নিয়ন্ত্রণে এলোমেলো হয়েছে নেদারল্যান্ডস।
এর আগে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে আরও দুবার ৪ উইকেট পেয়েছিলেন তাসকিন। ২০২৩ সালে আইরিশদের বিপক্ষে মাত্র ২ ওভারে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন, যা এখনও এই ডান হাতি পেসারের ক্যারিয়ারসেরা ফিগার। এর আগে ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ডাচদের বিপক্ষে প্রথমবার ৪ উইকেট পেয়েছিলেন তাসকিন।
সিলেটের উইকেট বেশ স্পোর্টিং। তাসকিন বেশ সতর্ক হয়ে কাল বল পিচ করিয়েছেন। আর ফলও পেয়েছেন। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো ৪ উইকেটের দেখা পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
দুর্দান্ত ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমানও, বেশ মিতব্যয়ী বোলিং করেছেন তিনি। তাসকিন-মোস্তাফিজদের আলো ছড়ানোর দিনে দেড়শ রানও স্কোরবোর্ডে তুলতে পারেনি নেদারল্যান্ডস।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই স্পিন আক্রমণে যান লিটন দাস। নতুন বল তুলে দেন শেখ মেহেদির হাতে। প্রথম ওভারে ডানহাতি এ অফ স্পিনার বেশ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন। তবে অপর প্রান্ত থেকে পেস আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে তিন বাউন্ডারি হজম করেন শরিফুল ইসলাম।
এক ওভার করার পরই শরিফুলকে সরিয়ে তাসকিন আহমেদকে আক্রমণে আনেন লিটন। তাতেই সাফল্যের দেখা পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসে নিজের করা প্রথম বলেই ব্রেকথ্রু এনে দেন তাসকিন। মিডল-লেগ স্টাম্পের ওপর করা গুড লেংথের বলে শর্ট কভারে জাকের আলির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ম্যাক্স ও’ডাউড। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ বলে ২৩ রান।
অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে ফিরে আবারও প্রথম বলেই উইকেট পেয়েছেন তাসকিন। এবার তার শিকার ভিক্রমজিত সিং। এ পেসারের করা খাটো লেংথের বলে লং অনে ধরা পড়েন ভিক্রম। প্রায় দুই বছর পর টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন সাইফ হাসান। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই জায়গা পেয়েছেন একাদশেও। লম্বা সময় পর দলে ফিরে বল হাতে আক্রমণে এসে প্রথম ওভারেই ২ উইকেট শিকার করেন এ স্পিনার।
দুই বছর পর জাতীয় দলে ফিরে প্রথম ওভারেই ২ উইকেট নিয়েছেন সাইফ হাসান। ইনিংসের ১০ম ওভারের চতুর্থ বলটি লেগ স্টাম্পের ওপর করেছিলেন সাইফ, সেখানে প্যাডল সুইপ করেন স্কট এডওয়ার্ডস। তবে ঠিকমতো টাইমিং করতে পারেননি। তাতে বল চলে যায় লং লেগে, খানিকটা দৌড়ে এসে দারুণ ক্যাচ নেন জাকের। ৭ বলে ১২ রানের বেশি করতে পারেননি ডাচ অধিনায়ক। দুই বল পরই তেজা নিদামিনুরুকেও ফিরিয়েছেন সাইফ। এবারও একই ধরনের ডেলিভারিতেই উইকেট পেয়েছেন এ স্পিনার। তাওহিদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ২৬ রান করেছেন এ ব্যাটার।
৮৬ রানে পঞ্চম উইকেট হারানো ডাচরা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় অনেকটাই ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ২০ ওভার খেলেও দেড়শ রান করতে পারেনি।