পুরো মৌসুমজুড়েই উড়ছিল ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। জিতে নিয়েছিল উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগসহ ৪টি শিরোপা। ক্লাব বিশ্বকাপেও সেই ফর্ম নিয়ে এসেছিল লুইস এনরিকের শিষ্যরা। দাপটের সঙ্গে ফাইনালে ওঠার পথে রিয়ালের মতো দলকে উড়িয়ে দিয়েছে ৪-০ গোলে। সেই দলকে স্তব্ধ করেই শিরোপা জিতে নিল আলোচনায় না থাকা ইংলিশ ক্লাব চেলসি।
নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে পিএসজিকে চেলসি বিধ্বস্ত করেছে ৩-০ গোলে। সবগুলো গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। ৮২ হাজারের বেশি দর্শকের সামনে রবিবার রাতে জোড়া গোল ও একটি অ্যাসিস্ট দিয়ে ফাইনালের নায়ক তরুণ তারকা কোল পালমার। বাকি গোলটি দিয়েছেন জোয়াও পেদ্রো।
এই নিয়ে মৌসুমের দ্বিতীয় শিরোপা জিতল চেলসি। এর আগে উয়েফা কনফারেন্স লিগ জিতেছিল এই ইংলিশ ক্লাব। সেবার ফাইনালে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল বেতিসকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল এনজো মারেসকার শিষ্যরা।
গতকাল রাতে ফাইনালের মতো মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শুরু থেকেই পিএসজিকে চাপের ওপর রাখে চেলসি। অষ্টম মিনিটেই পালমারের একটি শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। ১৬ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিল পিএসজিও। তবে কাজে লাগাতে পারেনি। দুই মিনিট পর দৃঢ়তা দেখিয়ে পিএসজিকে হতাশ করেন চেলসি গোলরক্ষক রবের্ত সানচেস।
চেলসি এগিয়ে যায় ২২তম মিনিটে। বাঁ পায়ের নিচু শটে গোল আদায় করেন এই তরুণ ইংলিশ উইঙ্গার। তার আট মিনিট পর ব্যবধান তিনিই দ্বিগুণ করেন। নিজেদের অর্ধ থেকে ডিফেন্ডার লিভাই কলউইলের উঁচু করে বাড়ানো বল ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। পরে আবারও নিচু শটে দারুণ এক গোল দেন ২৩ বছর বয়সী এই তারকা।
পুরষ্কার তুলে দেন ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে আগে আরও এক গোল দিয়ে পিএসজিকে ম্যাচ থেকে এক প্রকার ছিটকে ফেলে চেলসি। এই গোলেও আছে পালমারের অবদান। বক্সে দেওয়া তার পাসেই প্রথম স্পর্শে গোল আদায় করেন পেদ্রো। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভাঙার চেস্টা করে। তবে এ যাত্রায় সফল হয়নি কেউ। শিরোপার ছোঁয়া পায় চেলসি।
শেষদিকে ঝামেলায় জড়ায় দুই দল। পেছন থেকে চেলসির মার্ক কুকুরেইয়ার চুল ধরে টান দিয়েছিলেন পিএসজি মিডফিল্ডার জোয়াও নেভেস। পরে ভিআরের সাহায্যে তাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। তাতে নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে ১০ জনের দলে পরিণত হয় পিএসজি। শেষ বাঁশি বাজার পরও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই দলের কয়েক জন।
এদিন, ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল উপভোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার পাশে ছিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে খেলোয়াড়, ম্যাচ অফিসিয়ালদের মেডেল ও চ্যাম্পিয়ন অধিনায়কের হাতে ট্রফি তুলে দেন এই দুজন।